আজ থেকে তিন দিনব্যাপী দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে, যা ২৭ বছর পর বিজেপির ক্ষমতায় ফিরে আসার সূচনা বলে চিহ্নিত। দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আম আদমি পার্টি (আপ) এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
নয়া দিল্লি: দিল্লি বিধানসভার তিন দিনব্যাপী অধিবেশন আজ থেকে শুরু হচ্ছে, যেখানে ২৭ বছর পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আম আদমি পার্টি (আপ) এখন বিরোধী দলে বসবে। এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ এবং স্পিকার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিনে কী হবে?
২৪শে ফেব্রুয়ারি, সকাল ১১:০০ টায় বিধানসভা অধিবেশন শুরু হবে। প্রথমে, প্রোটেম স্পিকার অরবিন্দ সিং লভলি ৭০ জন নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এরপর, দুপুর ২:০০ টায় স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপির প্রবীণ নেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত মনোনয়ন দাখিল করেছেন এবং তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত তার নাম প্রস্তাব করবেন এবং কেবিনেট মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা এবং রবিন্দর ইন্দর রাজ দ্বিতীয় করবেন।
দ্বিতীয় দিনে বিধানসভায় কী হবে?
২৫শে ফেব্রুয়ারি, অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে, উপ-রাজ্যপাল ভি.কে. সাক্ষেনা বিধানসভায় ভাষণ দেবেন, যেখানে দিল্লি সরকারের অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও, আপ সরকারের আমলে বকেয়া থাকা ১৪টি ক্যাগ রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত উপ-রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
তৃতীয় দিনে হুলস্থূলের আশঙ্কা
২৬শে ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ছুটি থাকলেও, ২৭শে ফেব্রুয়ারি উপ-রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা এবং উপ-স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই দিনে উল্লেখযোগ্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধী দলে বসে আপ বিজেপি সরকারকে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দলীয় নেতা অতীশীর নেতৃত্বে, আপ বিধায়করা মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা ভাতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে চাপে ফেলার প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিজেপি সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ
দিল্লির বিজেপি সরকারের জন্য ক্যাগ রিপোর্ট উপস্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিজেপি আপের আমলে দমন করা ক্যাগ রিপোর্টগুলি জনসমক্ষে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন, এই রিপোর্টগুলি বিধানসভায় আলোচনায় আসবে, যা সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিরোধীদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ঐতিহাসিক অধিবেশন, ক্ষমতার পরিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ কৌশল
২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে এসেছে এবং এই অধিবেশন সরকারের কার্যকলাপের প্রথম ঝলক তুলে ধরবে। সুসংগঠিত বিরোধী দলের উপস্থিতিতে, এই অধিবেশন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এবং রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।