মার্জ জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত

🎧 Listen in Audio
0:00

সংরক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মারজ জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথে, সাধারণ নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের পর।

বার্লিন: জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে সংরক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মারজ ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন, যা তাকে দেশের পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে পথ প্রশস্ত করেছে। তার খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (CDU) এবং এর বাভারিয়ান সিস্টার পার্টি, খ্রিস্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (CSU), ২৮.৫% ভোট পেয়ে শক্তিশালী জনাধিকার অর্জন করেছে। ফলাফলের পর, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (SPD) নেতা এবং বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ পরাজয় স্বীকার করে মারজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

CDU'র পুনরায় উত্থান এবং রাজনৈতিক সমীকরণ

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জার্মান রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, কিন্তু এই নির্বাচন সংরক্ষণশীল ব্লকের উল্লেখযোগ্য পুনরায় উত্থানকে চিহ্নিত করে। CDU-CSU জোট ২০২৫ সালের শরণার্থী সংকট এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার মতো বিষয়গুলিতে ফোকাস করে ভোটারদের সমর্থন অর্জন করেছে। আল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (AfD) ২০.৭% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, অন্যদিকে ওলাফ শোলজের SPD উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে।

আইনজীবী থেকে চ্যান্সেলর: ফ্রিডরিখ মারজের যাত্রা

* ১৯৫৫ সালের ১১ নভেম্বর জার্মানির ব্রিলনে জন্মগ্রহণকারী মারজ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, যার আইন বিষয়ে পটভূমি রয়েছে। তার পরিবারের আইনি পটভূমি ছিল এবং তিনি ১৯৭৬ সালে আইন বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য হন এবং ১৯৯৪ সালে বুন্ডেস্ট্যাগে প্রবেশ করেন।

* মারজ ২০০০ সালে সন্সদীয় গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে CDU তে বিখ্যাত হন। তবে ২০০২ সালে অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের নেতৃত্বে দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফলে তিনি পিছিয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি আর্থিক খাতে কর্মজীবন শুরু করেন।

* তবে, মার্কেলের অবসরের ঘোষণার পর ২০২৮ সালে মারজ রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করেন, কিন্তু দলের নেতৃত্ব অ্যানেগ্রেট ক্র্যাম্প-কারেনবাউর পেয়ে যান। ২০২১ সালে CDU-CSU পরাজিত হওয়ার পর, তিনি দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবার উঠে আসেন এবং এখন চ্যান্সেলর পদ গ্রহণ করার পথে।

মারজের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কৌশল

* অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জার্মানির অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে; এটিকে পুনরায় সক্রিয় করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
* শরণার্থী নীতি: মারজের দল আরও কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে, আগামী বছরগুলিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
* ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব: ইউরোপে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জার্মানির অবস্থান বজায় রাখার জন্য একটি নতুন কৌশল প্রয়োজন।

জার্মানি কি পরিবর্তন দেখবে?

CDU'র ক্ষমতায় ফিরে আসার ফলে জার্মানির নীতি নির্ধারণের দিক পরিবর্তন হবে। মারজের নেতৃত্বে, অর্থনীতি, কর ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা নীতি সম্পর্কে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া আশা করা যেতে পারে। ব্যবসা-বান্ধব এবং সংরক্ষণশীল নেতা হিসেবে তার ভাবমূর্তি বিনিয়োগকারীদের জার্মানিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করিয়েছে।

Leave a comment