দিল্লির রাজনীতিতে ক্যাগ রিপোর্টের ছায়া: কেজরীবালের জন্য বাড়ছে চাপ

🎧 Listen in Audio
0:00

দিল্লির রাজনীতিতে আবারও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিধানসভার লোকলেখা সমিতি (পিএসি) আরও একটি ক্যাগ রিপোর্টের তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নয়াদিল্লি: দিল্লির রাজনীতিতে আবারও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিধানসভার লোকলেখা সমিতি (পিএসি) আরও একটি ক্যাগ রিপোর্টের তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এই রিপোর্টে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সম্পর্কিত অনিয়ম উদ্ঘাটন করা হয়েছে, যা নিয়ে বিধানসভায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ক্যাগ রিপোর্টের তদন্তের নির্দেশ

দিল্লি বিধানসভা অধিবেশনের চতুর্থ দিনে এই রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, এবং পরে তা তদন্তের জন্য পিএসির কাছে পাঠানো হয়। বিধানসভা স্পীকার বিজেন্দ্র গুপ্তা পিএসিকে তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, দিল্লির আবগারী নীতি সম্পর্কিত ক্যাগ রিপোর্টও পিএসিকে সোপর্দ করা হয়েছিল।

আলোচনার সময় বিজেপি বিধায়করা অভিযোগ করেছেন যে করোনা মহামারীর সময় অক্সিজেনের অভাব এবং দুর্ব্যবস্থাপনার কারণে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তারা কেজরীবালের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে। বিজেপি নেতারা বলেছেন যে আপ সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে, যার ফলে দিল্লির নাগরিকদের কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

সরকার দলের পাল্টা আক্রমণ

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ পঙ্কজ কুমার সিংহ আপ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। গুপ্তা বলেন, করোনা কালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ঔষধ এবং চিকিৎসার নামে দুর্নীতি করা হয়েছে। এন-৯৫ মাস্ক থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, কেজরীবাল সরকার শুধুমাত্র দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল এবং জনগণের টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে।

কেজরীবালের জন্য বাড়ছে সমস্যা

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা আতিশি বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন যে বিজেপি এখন ক্যাগ রিপোর্টকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি অভিযোগ করেন যে বিজেপির আসল উদ্দেশ্য আপ সরকারকে কলঙ্কিত করা, এবং আসল সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্রমাগত ক্যাগ রিপোর্টের তদন্ত এবং বিজেপির আগ্রাসী কৌশল অরবিন্দ কেজরীবালের জন্য সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

আবগারী নীতি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যন্ত, অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়েছে, যার ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

Leave a comment