শশী থারুর আমেরিকায় ট্রাম্পের ভারত-পাক মধ্যস্থতা দাবিকে নাকচ করে দিলেন, বললেন- সন্ত্রাসবাদী ও ভুক্তভোগীর মধ্যে কোনো সমতা নেই, ভারত কখনো মধ্যস্থতা চায়নি।
শশী থারুর: কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর, যিনি বর্তমানে আমেরিকায় ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে ভারতীয় সাংসদদের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতা দাবিকে সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুটি অসমান পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা সম্ভব নয়, বিশেষ করে যখন এক পক্ষ সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক এবং অন্য পক্ষ তার শিকার।
থারুরের যুক্তি: সন্ত্রাসবাদী ও ভুক্তভোগীর মধ্যে কোনো সমতা নেই
থারুর স্পষ্ট করে বলেছেন, যখন আপনি ‘মধ্যস্থতা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেন, তখন আপনি দুই পক্ষকে সমান মনে করেন, যা বাস্তবতার বাইরে। তিনি বলেছেন, "সন্ত্রাসবাদী ও তাদের ভুক্তভোগীর মধ্যে কোনো সমতা হতে পারে না। একটি দেশ যা সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয় এবং একটি দেশ যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তাদের মধ্যে তুলনা করা যায় না।"
ভারতের অবস্থান: চাপ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয়
থারুর জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদের অবকাঠামো ধ্বংস করে, ততক্ষণ ভারত পাকিস্তানের সাথে আলোচনা করবে না। তিনি বলেছেন, "পাকিস্তান যতক্ষণ সন্ত্রাসবাদের অবকাঠামো নির্মূল করে না, ততক্ষণ ভারত আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়।"
ট্রাম্পের দাবি: আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সমাধানে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, যদি দুটি দেশ যুদ্ধবিরতির উপর সম্মত হয়, তাহলে আমেরিকা তাদের সাথে ব্যবসা করবে। তবে, ভারত এই দাবিগুলিকে নাকচ করে বলেছে যে, যুদ্ধবিরতি দুটি দেশের সামরিক কার্যক্রমের মহাপরিচালকদের (DGMOs) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: রাশিয়া ও পাকিস্তানের ভূমিকা
রাশিয়া প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের দাবিকে সমর্থন করেছে, অন্যদিকে পাকিস্তানও আমেরিকার ভূমিকাকে স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন যে আমেরিকা যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে, ভারত স্পষ্ট করে বলেছে যে, তারা কখনোই কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে মধ্যস্থতার অনুরোধ করেনি।
