চার রাজ্যের উপনির্বাচনে বিরোধীদের বড় জয়: ‘আম আদমি পার্টি’, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শক্তিশালী উপস্থিতি

🎧 Listen in Audio
0:00

চার রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ‘আম আদমি পার্টি’, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। আপ পাঞ্জাবে এবং গুজরাটে এগিয়ে রয়েছে, অন্যদিকে বিজেপি মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করতে পেরেছে।

উপনির্বাচন ২০২৫ ফলাফল: চার রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ‘আম আদমি পার্টি’, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদের মধ্যে চারটি আসন বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের দখলে গেছে, আর এনডিএ মাত্র একটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে। পাঞ্জাবে আপ শুধুমাত্র আসন ধরে রাখেনি, বরং জয়ের ব্যবধানও বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, গুজরাটের বিসাওদার আসনে সরকার-বিরোধী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, ভোটাররা স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং যেখানে অসন্তোষ রয়েছে, সেখানে সরকার পরিবর্তনের প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।

উপনির্বাচনের ফলাফলের ছবি

১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাঁচটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল এখন প্রকাশিত হয়েছে। এই আসনগুলি হল— পাঞ্জাবের লুধিয়ানা ওয়েস্ট, গুজরাটের কাদি এবং বিসাওদার, পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ এবং কেরালার নীলাম্বুর। এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটারদের ঝোঁক স্থায়িত্ব, কর্মদক্ষতা এবং স্থানীয় বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হচ্ছে।

পাঞ্জাবের লুধিয়ানা ওয়েস্ট আসনে আপের বড় জয়

পাঞ্জাবে, সরকারী ‘আম আদমি পার্টি’ লুধিয়ানা ওয়েস্ট বিধানসভা আসনে শুধুমাত্র জয় অর্জনই করেনি, বরং এবার জয়ের ব্যবধানও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। ২০২২ সালের নির্বাচনে ‘আম আদমি পার্টি’র গুরপ্রীত বাসি গোগি কংগ্রেসের ভারত ভূষণ আশুকে ৭৫১২ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এবারের উপনির্বাচনে আপের প্রার্থী সঞ্জীব অরোরা ৩৫,১৪৪ ভোট পেয়ে ১০,৬৩৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে পাঞ্জাবে দলের দখল শক্তিশালী রয়েছে এবং ভোটাররা এখনও আপ-এর উপর আস্থা রাখছেন।

গুজরাটের বিসাওদার আসনে সরকার-বিরোধী প্রবণতা অব্যাহত

গুজরাটের বিসাওদার বিধানসভা আসন দীর্ঘদিন ধরেই সরকার-বিরোধী ভোটদানের জন্য পরিচিত। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই আসন বিজেপির দখলে যায়নি। ২০২২ সালে এখান থেকে ‘আম আদমি পার্টি’ জয়ী হয়েছিল। এবারও, আপের বিধায়ক দল বদল করার পর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, ভোটাররা আবারও সরকার-বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বিসাওদার জনতা স্থানীয় স্তরে দলের কাজ এবং নেতৃত্বের উপর তাদের সিদ্ধান্ত প্রদান করে, রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ডের উপর নয়।

গুজরাটের কাদি আসনে বিজেপির দখল অটুট

গুজরাটের মেহসানা জেলার কাদি বিধানসভা আসন বিজেপির কাছে ছিল এবং এই আসনটি তারা এই উপনির্বাচনেও ধরে রেখেছে। এটি দেখায় যে কিছু এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি এবং স্থায়ী সমর্থন ভিত্তি অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এই আসনে কোন অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়নি এবং ভোটাররা স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তন

পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জীর দলের কর্মক্ষমতা ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে এবং এই আসনটি সেই ধারাবাহিকতায় দলের হাতে চলে গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে প্রতিবাদের মুখেও এখনও যথেষ্ট জনসমর্থন পেয়েছে। বিজেপির জন্য এটি একটি ইঙ্গিত যে, বাংলায় তাদের জড়কে আরও গভীর করার জন্য তাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা করতে হবে।

কেরালার নীলাম্বুর আসনে কংগ্রেস জোটের জয়

কেরালার নীলাম্বুর বিধানসভা আসনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট জয়ী হয়েছে। এই আসনে বামফ্রন্টের (এলডিএফ) পরাজয় রাজ্যের রাজনীতিতে আন্দোলনের ইঙ্গিত বহন করে। একদিকে যেখানে বাম দলগুলির রাজ্যে শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে, অন্যদিকে এই পরাজয় দেখিয়েছে যে কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান। এই জয় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্য উৎসাহবর্ধক হতে পারে।

Leave a comment