ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭১০-তে পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি রোগী কেরালে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সকল রাজ্যকে সতর্ক থাকার এবং মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ: ভারতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েকদিনে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ২৭১০-তে পৌঁছেছে। কেরাল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সকল রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং জনগণকে মাস্ক পরার এবং সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, তবে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
ভারতে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭০০ ছাড়িয়ে গেল
করোনা ভাইরাস আবারও দেশে তার প্রভাব বিস্তার করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭১০-তে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫১১টি নতুন কেস ধরা পড়েছে, যদিও ২৫৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। শুভ বার্তা হল, এখনও অনেক মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণগুলি কী?
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে মৌসুমী পরিবর্তন এবং মানুষের অসাবধানতা বলা হচ্ছে। এছাড়াও, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভারতে প্রবেশ করছে। চীন, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের মতো দেশগুলিতে করোনার সংক্রমণে হঠাৎ বৃদ্ধির পর ভারতেও সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কোন ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে?
ভারতে বর্তমানে JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রন পরিবারের সাথে সম্পর্কিত এবং এর লক্ষণগুলি হালকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টটি তেমন মারাত্মক নয়, তবে বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের এটি থেকে রক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কেরালে সবচেয়ে বেশি রোগী, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রও সতর্ক
রাজ্য অনুযায়ী তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কেরালে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রোগী আছে। সেখানে ১১৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছে। তারপর মহারাষ্ট্রে ৪২৪ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে। দিল্লিতেও পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক, যেখানে ২৯৪ জন সক্রিয় রোগী আছে। এছাড়াও কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনা থেকে এ পর্যন্ত কতজন সুস্থ হয়েছে এবং কতজন মারা গেছে?
জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে ১৭১০ জন করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে ২২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্যগুলি দেখায় যে ভাইরাসের প্রভাব এখনও সম্পূর্ণভাবে কমেনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সকল রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পরামর্শে বলা হয়েছে, বড় আয়োজনগুলি এড়িয়ে চলা উচিত, জনসমাগমের স্থানে মাস্ক পরা জরুরি এবং পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো উচিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ এবং ওষুধের উপলব্ধতা নিয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।