ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে ৭ মে একটি মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন এবং ইরান, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।
নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয় ৭ মে সারা দেশে একটি মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ড্রিলটি নাগরিকদের বিমান হামলার সতর্কতা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং স্থানান্তর अभ्याসের জন্য প্রস্তুত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে। মক ড্রিল চলাকালীন, সাইরেন বাজানো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে নাগরিকরা যে কোনও জরুরি অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রক্ষামন্ত্রী রাজেশ কুমার সিংহের সাথে বৈঠক করেছেন এবং সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেছেন। এর আগে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে. ত্রিপাঠীও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং আসন্ন মক ড্রিলে অন্তর্ভুক্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা ব্যবস্থা, উদ্ভিদ সুরক্ষা এবং স্থানান্তর পরিকল্পনাগুলির বিস্তারিত মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আহ্বান: শান্তির দিকে প্রচেষ্টা
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি পাকিস্তান সফরের পর দিল্লিতে আসবেন, উভয় দেশকে উত্তেজনার হ্রাস করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ফোনে কথা বলে আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সমর্থন করার আশ্বাস দিয়েছেন। পুতিন পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে ভারতে আসার কথাও নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম অবলম্বন করে এই উত্তেজনার হ্রাসের চেষ্টা করা উচিত। তিনি শান্তির দিকে উভয় দেশের সরকারকে সাহায্য করার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীরে সতর্কতা এবং সাইবার নিরাপত্তার প্রচেষ্টা
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ অখনুর সেক্টরে মানুষকে চিনাব নদী পারাপার করতে নিষেধ করেছে। নদীতে পানির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গ্রামবাসীদের গয়না এবং মুদ্রা খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, সাইবার নিরাপত্তার অংশ হিসেবে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে আর্মি পাবলিক স্কুল এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের উপর হামলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে।