বিশ্ববাজারের দুর্বলতায় ভারতীয় শেয়ার বাজারে চাপ। এফআইআই ৪,৭৮৮ কোটি টাকার বিক্রয় করেছে, যখন ডিআইআই ৮,৭৯০ কোটি টাকার ক্রয় করেছে। নিরাপত্তা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি নিফটি ২২,০০০ এবং সেন্সেক্স ৭২,৮০০ তে।
শেয়ার বাজার আজ: বিশ্ববাজার থেকে দুর্বল সংকেতের কারণে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন দেখা যেতে পারে। সকাল ৮ টায় GIFT নিফটি ফিউচার্স ৩৩ পয়েন্ট নেমে ২২,০৯৪ তে লেনদেন করছে, যা বাজারে মন্দার পরিবেশ তৈরি করেছে।
সোমবার বাজারের পারফরম্যান্স
গত সোমবার (৩ মার্চ) দেশীয় শেয়ার বাজার সামান্য পতনের সাথে বন্ধ হয়েছে।
- সেন্সেক্স ১১২ পয়েন্ট অথবা ০.১৫% পতনের সাথে ৭৩,০৮৬ তে বন্ধ হয়েছে।
- নিফটি ৫০ ৫ পয়েন্ট অথবা ০.০২% পতনের সাথে ২২,১১৯ তে বন্ধ হয়েছে।
- ব্রডার মার্কেটে নিফটি মিডক্যাপ ১০০ ০.১৪% লাভ করেছে, যখন নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ ০.২৭% ক্ষতি করেছে।
এফআইআই-ডিআইআই-এর বিনিয়োগের প্রবণতা
বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FII) সোমবার ৪,৭৮৮.২৯ কোটি টাকার নেট বিক্রয় করেছে, যা বাজারে চাপ বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে, দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (DII) ৮,৭৯০.৭০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে, যা বাজারকে কিছুটা সহায়তা করেছে।
আজ বাজারের দিক কেমন হতে পারে?
কোটাক সিকিউরিটিজের ইকুইটি রিসার্চ প্রধান শ্রীকান্ত চৌহানের মতে:
- নিফটির জন্য ২২,০০০ এবং সেন্সেক্সের জন্য ৭২,৮০০ গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের স্তর হবে।
- উপরের দিকে ২২,২০০/৭৩,৪০০ স্তর প্রতিরোধের মতো কাজ করবে।
- যদি বাজার ২২,২০০/৭৩,৪০০ স্তর অতিক্রম করে, তাহলে ২২,২৫০-২২,৩০০ / ৭৩,৫০০-৭৩,৮০০ পর্যন্ত উর্ধ্বগতি দেখা যেতে পারে।
- পতনের অবস্থায় যদি বাজার ২২,০০০/৭২,৮০০-এর নিচে নেমে আসে, তাহলে বিনিয়োগকারীরা তাদের লং পজিশন থেকে বের হতে পারেন।
বিশ্ববাজারের অবস্থা
আমেরিকান শেয়ার বাজারে সোমবার পতন দেখা গেছে, যার ফলে ভারতীয় বাজারেও চাপ পড়তে পারে।
- S&P 500 ১.৭৬% পতন হয়েছে।
- ডাও জোন্স ১.৪৮% পতন হয়েছে।
- নাসডাক ২.৬৪% পতন হয়েছে, যার মূল কারণ এনভিডিয়ার শেয়ারে ৮% এর বেশি পতন।
আন্তর্জাতিক কারণের প্রভাব
আমেরিকা এবং কানাডার মধ্যে ট্যারিফ নিয়ে বর্ধমান উত্তেজনা বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার থেকে কানাডা ও মেক্সিকোতে ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার প্রভাব আন্তর্জাতিক বাজারে দেখা যেতে পারে। এর জবাবে কানাডাও আমেরিকার উপর তাৎক্ষণিকভাবে ‘প্রতিশোধমূলক’ ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কৌশলী হওয়া উচিত?
১. স্তম্ভ এবং প্রতিরোধ স্তরের উপর নজর রাখুন – নিফটি এবং সেন্সেক্সের গুরুত্বপূর্ণ স্তরের দিকে লক্ষ্য রেখে লেনদেন করুন।
২. বিশ্ববাজারের প্রবণতার উপর নজর রাখুন – আমেরিকা এবং অন্যান্য প্রধান বাজারের চাল ভারতীয় বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩. এফআইআই এবং ডিআইআই-এর প্রবণতার উপর নজর রাখুন – যদি এফআইআই-এর বিক্রয় অব্যাহত থাকে, তাহলে বাজারে আরও চাপ দেখা যেতে পারে।
৪. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই – যদি বাজারে পতন আসে, তাহলে শক্তিশালী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।