আমেরিকায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর, নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে সাক্ষাৎ

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আমেরিকা সফরে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের মনোনীত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতে বিদেশমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও মজবুত করার বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

ওয়াশিংটন: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে দুই নেতা ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও, তারা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ভারত সরকার ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে এটিই ছিল সর্বোচ্চ স্তরের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক। মনে করা হচ্ছে, এই সাক্ষাৎ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ নবনির্বাচিত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে লিখেছেন, "ওয়াল্টজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুব আনন্দিত হয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।"

মাইকেল ওয়াল্টজ (50) জেক সুলিভানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করবেন। ফ্লোরিডার ষষ্ঠ 'কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট' থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া ওয়াল্টজ, মার্কিন প্রতিনিধি সভায় 'কংগ্রেসনাল ইন্ডিয়া ককাস'-এর রিপাবলিকান সহ-সভাপতি, যা আমেরিকায় বৃহত্তম দেশ-ভিত্তিক ককাস।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

ওয়াল্টজ গত বছর আগস্ট মাসে ভারতে আমেরিকান সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সহ-নেতৃত্ব করেন এবং তিনি লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি প্রতিনিধি সভায় বেশ কয়েকটি ভারত-হিতৈষী বিলের প্রস্তাবক ছিলেন। ১২ই নভেম্বর, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে ওয়াল্টজ তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হবেন।

এরপর, জয়শঙ্কর জানান যে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতীয় দূতাবাস ও ভারতীয় কনসাল জেনারেলদের একটি দলের সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ দুই দিনের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি 'এক্স'-এ লিখেছেন, "আলোচনার পর আমি নিশ্চিত যে ভারত-মার্কিন সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হওয়ার গতি বাড়বে।"