এয়ার ইন্ডিয়ার AI315 ফ্লাইট, যা হংকং থেকে দিল্লী যাচ্ছিল, তা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফিরে এসেছে। এটি একটি বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার বিমান ছিল। সকল যাত্রী নিরাপদে আছেন। গত তিন দিনে তিনটি ড্রিমলাইনার বিমানে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
Air India flight: সম্প্রতি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানকে যাত্রা মাঝপথেই থামাতে হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার হংকং থেকে দিল্লী যাওয়া AI315 ফ্লাইটটিও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সপ্তাহেই অমদাবাদ থেকে উড়াল দেওয়া একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে উদ্বেগ বৃদ্ধি
একই দিনে তিনটি ড্রিমলাইনার বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে উড়ান বন্ধ করার পর বিমান পরিবহন খাতে নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার AI315 ফ্লাইট, যা হংকং থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছিল, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে হংকংয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।
এই বিমানটি ছিল একটি বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার এবং সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়ে উড়াল শুরু করেছিল। উড়াল শুরুর কিছুক্ষণ পরই পাইলট প্রযুক্তিগত ত্রুটির আশঙ্কা করেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাইলট হংকং বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
যাত্রীদের নিরাপদ অবতরণ, বিমানের নিরাপত্তা
সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হলো, বিমানে থাকা সকল যাত্রী, পাইলট এবং কেবিন ক্রু নিরাপদে আছেন। বিমানটি হংকং বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত ত্রুটির ধরণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটি ইঞ্জিন বা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত হতে পারে।
অন্যান্য ড্রিমলাইনার ফ্লাইটেও ত্রুটি দেখা দেয়
এয়ার ইন্ডিয়ার ঘটনা একক নয়। একই দিনে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের লন্ডন থেকে চেন্নাই যাওয়া ফ্লাইট এবং লুফথানসার ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে হায়দ্রাবাদ যাওয়া ফ্লাইট প্রযুক্তিগত কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এই দুটি বিমানও বোয়িং 787 ড্রিমলাইনার মডেল ছিল। এর ফলে বোয়িং ড্রিমলাইনারের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আবারো বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অমদাবাদ ফ্লাইট দুর্ঘটনা সতর্কতা আরও বাড়িয়েছে
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার অমদাবাদ থেকে লন্ডন (গ্যাটউইক বিমানবন্দর) যাওয়া একটি ফ্লাইট উড়ালের কিছুক্ষণ পরই দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে থাকেন। দুর্ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের প্রযুক্তিগত দলকে অবিলম্বে সক্রিয় করে এবং তাদের সকল ড্রিমলাইনার বিমানের নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু করে। কোম্পানি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নয়টি বিমানের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ব্ল্যাক বক্স থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট দুর্ঘটনার পর তদন্তকারী সংস্থাগুলি ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেতে ব্যস্ত ছিল। এখন জানা গেছে, প্রথম ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার পর দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স অর্থাৎ ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)ও উদ্ধার করা হয়েছে। এই রেকর্ডার পাইলটদের কথোপকথন এবং সিস্টেম অ্যালার্টের রেকর্ডিং সংরক্ষণ করে এবং দুর্ঘটনার সময় বিমানে কী ঘটেছিল তা জানতে সাহায্য করে।
ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
বোয়িং 787 ড্রিমলাইনারকে উন্নত প্রযুক্তির বিমান বলে মনে করা হলেও, গত কয়েক বছরে এর বেশ কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়াসহ বিশ্বের অনেক এয়ারলাইন্স এই মডেলের সাথে প্রযুক্তিগত সমস্যার অভিযোগ করেছে। একই দিনে তিনটি ফ্লাইটের ফিরে আসা এবং এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার বড় দুর্ঘটনা, বোয়িং ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে ধরেছে।