সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (AICC)-এর দুদিনব্যাপী জাতীয় অধিবেশন এই বছর ৮ ও ৯ এপ্রিল গুজরাটের আহমেদাবাদে সাবরমতী নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে।
নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা সচিন পাইলট বলেছেন যে দল তাদের উদ্দীপনা এবং লড়াই করার ক্ষমতা হারায়নি। আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (AICC) অধিবেশনের পূর্বে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে দলে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে এবং ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন কংগ্রেসে প্রজন্মবন্ধী পরিবর্তন ঘটছে, যেখানে তরুণ নেতারা তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছেন। পাইলট জোর দিয়ে বলেছেন এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় আদর্শের স্থায়িত্ব এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দলের অগ্রাধিকার হবে।
এজেন্ডা: বিদেশ নীতি, শিক্ষা এবং সংরক্ষণের উপর ফোকাস
অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, যার মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে:
বিদেশ নীতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তন এবং ভারতের ভূমিকা
শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার এবং অন্তর্ভুক্তি
বেসরকারি খাতে সংরক্ষণ প্রয়োগের সম্ভাবনা
এছাড়াও সামাজিক ন্যায়, সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে গভীর আলোচনার আশা করা হচ্ছে।
সচিন পাইলট বলেন – কংগ্রেস উদ্দীপনা হারায়নি, পরিবর্তন চলছে
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট অধিবেশনের পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে দল "লড়াই করার সাহস এবং উদ্দীপনা হারায়নি"। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে কংগ্রেসে প্রজন্মবন্ধী পরিবর্তন (generational shift) স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে এবং তরুণ নেতাদের দায়িত্ব পাওয়া যাচ্ছে। কোনও পরিবর্তনই রাতারাতি হয় না। দল আজও SC, ST, OBC, সংখ্যালঘু, নারী এবং যুবাদের শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
'উদয়পুর ঘোষণা' পালন অব্যাহত
সচিন পাইলট জানিয়েছেন যে কংগ্রেস উদয়পুর ঘোষণা সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করেছে এবং সাংগঠনিক নিয়োগে সেই আবেগেরই অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, AICC হোক, রাজ্য ইউনিট হোক অথবা সংসদীয় দল, তরুণদের নেতৃত্বের ভূমিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই অধিবেশন গুজরাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস দল তাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
পাইলট বলেছেন এই অধিবেশন শুধুমাত্র সাংগঠনিক দিক থেকে নয়, দলের আত্মবিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।