১৩ বছরের ধর্ষণপীড়িতার গর্ভপাতে রাজস্থান হাইকোর্টের অনুমতি

🎧 Listen in Audio
0:00

রাজস্থান হাইকোর্ট ১৩ বছরের ধর্ষণপীড়িতার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে, তার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এই প্রক্রিয়ায় শিশুটির মানসিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

জয়পুর: রাজস্থান হাইকোর্ট ১৩ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণপীড়িতার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়ে তার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে গর্ভ ২৭ সপ্তাহের বেশি হয়েছে এবং অভিভাবকরা সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা জানেন। কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা অব্যাহত থাকলে পীড়িতার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে, তাই তাকে MTP আইন, ২০২১-এর বাইরে গিয়ে সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে এই সিদ্ধান্ত

মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে গর্ভ ২৭ সপ্তাহের বেশি হয়েছে এবং অভিভাবকরা সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা সম্পূর্ণরূপে জানেন। বোর্ড গর্ভপাতের সুপারিশ করেছে, যার পরে হাইকোর্ট তা অনুমোদন দিয়েছে। কোর্ট বলেছে, যদি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভ বজায় রাখার জন্য বাধ্য করা হয়, তাহলে তা পীড়িতার মানসিক ও সামাজিক জীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। কোর্ট মনে করেছে, এমন পরিস্থিতিতে পীড়িতাকে MTP আইন, ২০২১-এর বাইরে গিয়েও সাহায্য দেওয়া যেতে পারে।

ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ

হাইকোর্ট জয়পুরের মহিলা চিকিৎসালয়কে নির্দেশ দিয়েছে গর্ভপাতের যথাযথ ব্যবস্থা করতে। এছাড়াও, যদি ভ্রূণ জীবিত থাকে তবে তাকে চিকিৎসা সুবিধা এবং সরকারি খরচে যত্ন দেওয়া হবে। যদি ভ্রূণ জীবিত না থাকে, তবে তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে যাতে অপরাধ তদন্তে সাহায্য পাওয়া যায়।

এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচারের সংবেদনশীলতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে, যেখানে পীড়িতার ভবিষ্যৎ ও মানসিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment