আপের কাউন্সিলর রবীন্দ্র সোলাঙ্কি কেজরিওয়ালের মহিলা সম্মান প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ২১০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণাকে মিথ্যা বলেছেন এবং বলেছেন যে, এর আগে যে ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাও এখনও পূরণ হয়নি।
দিল্লি সংবাদ: আম আদমি পার্টির (আপ) কাউন্সিলর রবীন্দ্র সোলাঙ্কি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মহিলা সম্মান প্রকল্প নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। সোলাঙ্কি বলেছেন যে, দল লোকসভা নির্বাচনের সময় মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যা এখনও পর্যন্ত পূরণ হয়নি। এখন ২১০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণাকে তিনি মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন এবং এই প্রকল্প নিয়ে একাধিক গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন।
১০০০ টাকার প্রতিশ্রুতি অসম্পূর্ণ
সোলাঙ্কি তাঁর ফেসবুক লাইভে বলেছেন যে, নির্বাচনের সময় দল মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তিনি বলেছেন, "এখন ২১০০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।" তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর কেন নেওয়া হচ্ছে না, তাহলে এই টাকা কোন অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে?
প্রকল্পের নামে প্রতারণার অভিযোগ
সোলাঙ্কি অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর এলাকায় মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, দুই ব্যক্তির থেকে প্রকল্পের অধীনে ওটিপি চাওয়া হয়েছিল এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা গুরুতর এবং এর দায়িত্ব কে নেবে, সেই বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
বিধায়ক মহেন্দ্র যাদবের প্রতিও নিশানা
সোলাঙ্কি আঞ্চলিক বিধায়ক মহেন্দ্র যাদবের প্রতিও নিশানা করে বলেছেন যে, তিনি তাঁর এলাকার সমস্যাগুলির দিকে নজর দিচ্ছেন না। এলাকায় নর্দমার সমস্যা এবং ভাঙা রাস্তার মতো সমস্যা রয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে কোনও সাফল্য না থাকার কারণে এখন ২১০০ টাকা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।
বিধায়ক মহেন্দ্র যাদবের প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়ে বিধায়ক মহেন্দ্র যাদব বলেছেন যে, তিনি ইতিবাচক রাজনীতি করেন এবং সবসময় এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেছেন যে, যে কেউ কিছু বলতে পারে, কিন্তু তিনি সবসময় এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে যাবেন।
আম আদমি পার্টির জবাব
আম আদমি পার্টি বলেছে যে, এটা নির্বাচনী মরসুম এবং দলে টিকিট পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী লোকের সংখ্যা বেশি। দল বলেছে যে, মহিলা সম্মান প্রকল্পের রেজিস্ট্রেশনে মহিলাদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ দেখা গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মহিলা রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন, যা এই প্রকল্পের সাফল্যের প্রমাণ। দল আরও বলেছে যে, এই প্রকল্পের জন্য মানুষের কেজরিওয়ালের উপর অটুট বিশ্বাস রয়েছে।