পাক-চীন ষড়যন্ত্রের সতর্কতা: প্রতিরক্ষা বাজেট ৪% করার আহ্বান

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএস পানাগ সতর্ক করেছেন যে ভারতকে ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও চীনের সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৪% পর্যন্ত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

ব্যবসায় সংবাদ: প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএস পানাগ সতর্ক করেছেন যে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ভারতকে পাকিস্তানের সাথে আবারও সংঘাতের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তিনি বলেছেন যে পাকিস্তান চীনের সমর্থনে এই প্রস্তুতি নিচ্ছে। পানাগের মতে, ভারতকে সম্ভাব্য বিপদের বিষয়টি বিবেচনা করে তার সামরিক ক্ষমতায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা উচিত এবং এর জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৪% পর্যন্ত বাড়ানো উচিত।

পাকিস্তান কি আবার সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে?

প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএস পানাগ সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা জারি করেছেন যে ভারতকে ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সাথে আরও একটি সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি দাবি করেছেন যে পাকিস্তান এবার একা নয়, বরং চীনের সমর্থনে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি ‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের মাধ্যমে এই কথা বলেছেন।

তার মতে, ভারতকে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আবারও সীমান্তে উত্তেজনা এবং সংঘাতের মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাই ভারতকে এখন থেকেই তার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে হবে।

অপারেশন সিন্দুরের পরে बिगड़े रिश्ते

সম্প্রতি পালগমে হওয়া জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়েছে। এই অপারেশনে অনেক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, যার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ আরও বেড়েছে। এর প্রতিশোধে পাকিস্তান ভারতের উপর ড্রোন আক্রমণ করেছে, কিন্তু ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো তা ধ্বংস করেছে।

প্রতিরক্ষা বাজেটে বৃদ্ধি প্রয়োজন

জেনারেল পানাগের মতে, ভারতকে তার প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করে দিতে হবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে বর্তমানে যা প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির প্রায় ২%, তা বৃদ্ধি করে ৪% করা উচিত। এর মাধ্যমে ভারত বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং কার্যকর সামরিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারবে।

সামরিক কাঠামোতে পরিবর্তনের প্রয়োজন

পানাগ স্পষ্ট করে বলেছেন যে কেবলমাত্র বাজেট বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়। ভারতকে তার পুরো সামরিক কাঠামোতে কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। এর অধীনে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), ড্রোন প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রের উন্নয়ন প্রয়োজন। তিনি বলেছেন যে আগামী দিনে যুদ্ধ কেবলমাত্র ঐতিহ্যগত অস্ত্র দিয়েই হবে না, বরং প্রযুক্তিই নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে।

চীন-পাক গঠবন্ধন: ভারতের জন্য দ্বিগুণ বিপদ

পানাগের দাবি, চীন ও পাকিস্তানের গঠবন্ধন ভারতের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। চীন যেখানে কৌশলগতভাবে ভারতকে পিছনে ঠেলে দিতে চাইছে, সেখানে পাকিস্তান ভারতকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেছেন, “পাকিস্তান চীনের সমর্থনে আরেকটি সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও এতে ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগতে পারে, কিন্তু আমাদের আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে আমরা কোনো পরিস্থিতিতেই পিছিয়ে না পড়ি।”

পাকিস্তানের সীমিত ক্ষমতা

পানাগ এ কথাও বলেছেন যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা তার সামরিক ক্ষমতাকে সীমিত করে। পাকিস্তানের জিডিপি প্রায় ৩৭৩ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতের তুলনায় অত্যন্ত কম। তাই পাকিস্তান একা কোনো বড় যুদ্ধ শুরু করতে পারবে না, কিন্তু চীনের সাথে মিলেমিশে সে বিপদ হয়ে উঠতে পারে।

Leave a comment