নূপুর সেননের নতুন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘NoBo’ উচ্চমূল্যের জন্য সমালোচনার মুখে

🎧 Listen in Audio
0:00

বলিউড অভিনেত্রী কৃতি সেননের বোন নূপুর সেনন এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি। এর কারণ হল তাঁর নতুন ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যা তিনি সম্প্রতি লঞ্চ করেছেন।

Nupur Sanon Trolled: বলিউড অভিনেত্রী কৃতি সেননের বোন নূপুর সেনন সম্প্রতি নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘NoBo’ লঞ্চ করে ফ্যাশন জগতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। যদিও এটি তাঁর জন্য একটা সাফল্যের খবর হতে পারত, অন্যদিকে ব্র্যান্ডের উচ্চমূল্য তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার করে তুলেছে। লঞ্চের সাথে সাথেই নূপুরের ব্র্যান্ড বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে, এবং এর প্রধান কারণ হল তাঁদের দ্বারা প্রদত্ত পোশাকের দাম।

কেন মানুষ ক্ষুব্ধ?

নূপুর সেননের ব্র্যান্ড ‘NoBo’র ওয়েবসাইট অনলাইনে আসার সাথে সাথেই নেটিজেনরা সেখানে প্রদর্শিত পোশাকের দাম দেখে অবাক ও ক্ষুব্ধ উভয়ই হয়েছেন। একটি সাধারণ দেখতে কুর্তা সেটের দাম ২৬,৫০০ টাকা, অন্যদিকে একটি সাধারণ পোশাকের দাম ৭,০০০ টাকা বলা হচ্ছে। এছাড়াও, কিছু ম্যাক্সি ড্রেস এবং জাম্পসুটের দাম ৯,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত।

মানুষের মতে, এই পোশাকগুলি তাদের ডিজাইন ও গুণমানের দিক থেকে বিশেষ কিছু নয়, এবং তবুও এগুলির দাম লัก্সারি ব্র্যান্ডের সমান বা তার চেয়েও বেশি রাখা হয়েছে। यही কারণে নূপুর এবং তাঁর ব্র্যান্ডকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের বন্যা

এই ঘটনার প্রথম আলোচনা রেডিটের মতো প্লাটফর্মে শুরু হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা ‘NoBo’র ওয়েবসাইট থেকে স্ক্রিনশট শেয়ার করে দাম নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এতো সাধারণ পোশাক আর এতো উচ্চ দাম? এটা যেন মানি লন্ডারিংয়ের পথ মনে হচ্ছে। আরেকজন ব্যবহারকারীর মতে, ডিজাইন দেখে মনে হচ্ছে যেন কেউ ভেবেচিন্তে না করে শুধু কাপড় কেটে জুড়ে দিয়েছে। স্টাইলিংয়ের কোনো ছাপ নেই! কিছু ব্যবহারকারী ‘NoBo’কে No-buy ব্র্যান্ড বলে অভিহিত করেছেন, অর্থাৎ এমন একটি ব্র্যান্ড যা কেউ কিনতে চাইবে না।

নূপুরের নীরবতা: কৌশল নাকি অবহেলা?

এখনও পর্যন্ত নূপুর সেনন এই বিতর্ক বা ট্রলিংয়ের উপর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকেও কোনও ধরনের বিবৃতি জারি করা হয়নি যে দাম নিয়ে কোনও পর্যালোচনা করা হবে কি না। এই নীরবতা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের মধ্যে আরও বেশি চিন্তা ও সমালোচনার কারণ হয়ে উঠছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্র্যান্ডিং একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে, কিন্তু যখন কোনও নতুন ব্র্যান্ড কোনও পূর্ববর্তী গ্রাহক বিশ্বাস বা স্পষ্ট গুণমান মূল্যায়নের ছাড়াই সরাসরি উচ্চ দামে চলে আসে, তখন মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক।

NoBo-এর পোশাক দেখে যে ফ্যাব্রিক, কাট এবং ফিনিশিং দেখা যাচ্ছে, তা যেকোনো স্থানীয় ডিজাইনার বা ফ্যাশন স্টার্টআপের সমান মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় হাজার হাজার টাকা খরচ করার যৌক্তিকতা সাধারণ গ্রাহক বুঝতে পারছেন না।

কর্মক্ষেত্রে নূপুর সেনন

নূপুর সেনন ২০১৯ সালে অক্ষয় কুমারের সাথে ‘ফিলহাল’ মিউজিক ভিডিও দিয়ে অভিষেক করেছিলেন, যা মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এর পরে তিনি ‘ফিলহাল ২’তেও দেখা দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি তেলেগু চলচ্চিত্র ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। এখন শীঘ্রই তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র ‘নুরানী চেহারা’ দিয়ে বলিউডে নিজের পরিচয় তৈরি করতে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিষেকের আগেই তাঁর ফ্যাশন ব্র্যান্ড আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে— এবং সেটা নেতিবাচক কারণে।

ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য শুরুটা সবকিছু। যদি ব্র্যান্ডের ছবি শুরুতেই ‘মোটা দামে সাধারণ’ মতো ট্যাগ দিয়ে ঘেরা থাকে, তাহলে বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, নূপুর সেনন কি এই ট্রলিংকে সংবেদনশীলতার সাথে সামাল দিয়ে কোনও পরিবর্তন আনবেন? নাকি এটাকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র তারকাখ্যাতির ভরসায় ব্র্যান্ডটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন?

Leave a comment