দেশের রেল ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো এক বড় দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। সিবিআই (CBI) ঘুষের এক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় উত্তর রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
অপরাধ সংবাদ: কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) ৭ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের মামলায় উত্তর রেল, ডিআরএম অফিস, নয়াদিল্লির একজন জ্যেষ্ঠ ডিইই এবং একজন এসইই সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আরও একজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই রেল কর্মকর্তারা একটি বেসরকারি রেল ভেন্ডরের দিল্লির অবস্থিত কোম্পানি এবং তার পরিবারকে অনুচিত সুবিধা দিতে ঘুষের দাবী করেছিলেন এবং তা গ্রহণও করেছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযানে ৬৩.৮৫ লক্ষ টাকা নগদ, প্রায় ৩.৪৬ কোটি টাকার সোনার বার এবং অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
৭ লক্ষ টাকার ঘুষই উন্মোচনের কারণ
সিবিআই ৭ লক্ষ টাকার ঘুষ লেনদেনের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়েছে। মামলায় উত্তর রেল, ডিআরএম অফিস, নয়াদিল্লির জ্যেষ্ঠ ডিইই সাकेत चंद श्रीवास्तव, এসএসই তপেন্দ্র সিং গুজর এবং একটি বেসরকারি কোম্পানি বৎসল ইনফোটেকের পরিচালক গৌতম চাওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের উপর অভিযোগ উঠেছে যে তারা বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে অনুচিত সুবিধা দিতে ঘুষের দাবী করেছিলেন এবং গ্রহণ করেছিলেন।
অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি
সিবিআই দিল্লি ও গাজিয়াবাদ সহ ৯টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এই সময় উদ্ধার করা হয়েছে:
৬৩.৮৫ লক্ষ টাকা নগদ
প্রায় ৯৬.২৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না
একটি লকার থেকে ২.৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অলংকার ও সোনার বার
সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপ এবং হার্ড ডিস্ক
ঘুষ লেনদেনের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ নথি
সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা, সিবিআইয়ের অভিযান অব্যাহত
এই ঘটনায় সিবিআই সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, যাদের মধ্যে রেল কর্মকর্তা, বেসরকারি কোম্পানির পরিচালক এবং উভয় কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল:
১. সাकेत चंद श्रीवास्तव – জ্যেষ্ঠ ডিইই (সাধারণ), ডিআরএম অফিস, নয়াদিল্লি (গ্রেফতার)
২. তপেন্দ্র সিং গুজর – এসএসই, বৈদ্যুতিক-জি শাখা, (গ্রেফতার)
৩. অরুণ জিন্দাল – এসএসই, নিবিড়া বিভাগ প্রধান
৪. গৌতম চাওলা – পরিচালক, বৎসল ইনফোটেক (গ্রেফতার)
৫. বৎসল ইনফোটেক প্রা. লি., দিল্লি
৬. সাकेत कुमार – পরিচালক, শিবমণি এন্টারপ্রাইজেস, গাজিয়াবাদ
৭. শিবমণি এন্টারপ্রাইজেস প্রা. লি., গাজিয়াবাদ
সম্পূর্ণ ঘটনা কি?
অভিযোগ উঠেছে যে এই কর্মকর্তারা ঠিকা, কার্যাদেশ এবং বিল অনুমোদনের বিনিময়ে ঘুষ দাবি করছিলেন। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে কাজ দান এবং তাদের স্বার্থে জালিয়াতি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য তারা সকলে মিলে একটা নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছিল। সিবিআইয়ের এই অভিযান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। এজেন্সি এখন এই নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত অন্যান্য সন্দেহভাজন এবং অঘোষিত সম্পত্তির তদন্তে ব্যস্ত।