কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (CISF) স্থাপন দিবস ২০২৫: ইতিহাস, গুরুত্ব ও থিম

🎧 Listen in Audio
0:00

কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (CISF) ভারতের সুরক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য স্তম্ভ, যা দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, মেট্রো স্টেশন এবং শিল্প ইউনিটের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছর ১০ মার্চ CISF স্থাপন দিবস পালিত হয়, যা এই গৌরবময় বাহিনীর অবদানকে স্মরণ করার এক অনন্য সুযোগ। আসুন জেনে নেওয়া যাক CISF স্থাপন দিবস ২০২৫-এর ইতিহাস, গুরুত্ব এবং এ বছরের থিম।

CISF স্থাপন দিবস ২০২৫: কখন এবং কেন পালিত হয়?

• কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (CISF) গঠিত হয় ১০ মার্চ ১৯৬৯ সালে।
• প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী গঠিত হয়েছিল সরকারি খাতের কোম্পানিগুলির সুরক্ষার জন্য, কিন্তু বর্তমানে এটি বিমানবন্দর, বন্দর, মেট্রো, সরকারি ভবন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
• CISF স্থাপন দিবস দেশের সুরক্ষা এবং শিল্প উন্নয়নে এই বাহিনীর অবদানকে স্মরণ করার দিন।

CISF স্থাপন দিবস ২০২৫: এ বছরের থিম কী?

প্রতি বছর CISF স্থাপন দিবসকে আরও বিশেষ করে তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে CISF স্থাপন দিবসের থিম হল ‘সুরক্ষিত সমুদ্রতট, সমৃদ্ধ ভারত’। এই থিম দেশের উপকূলীয় সুরক্ষা এবং জাতীয় সমৃদ্ধিতে CISF-এর ভূমিকাকে তুলে ধরে।

CISF-এর গৌরবময় ইতিহাস: কখন এবং কীভাবে এর সূচনা হয়?

• ১৯৬৯ সালে সংসদের একটি আইনের মাধ্যমে CISF-এর স্থাপনা হয়।
• প্রাথমিকভাবে এই বাহিনী মাত্র ৩,০০০ কর্মীর সাথে গঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ এর সংখ্যা ১.৬ লক্ষেরও বেশি সদস্যে পৌঁছেছে।
• ১৯৮৩ সালে একে বিমানবন্দরের সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ২০০৯ সালে দিল্লি মেট্রোর সুরক্ষার দায়িত্বও CISF-কে দেওয়া হয়।
• আজ এই বাহিনী ৩০০-এরও বেশি শিল্প ইউনিট এবং প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে।

CISF স্থাপন দিবসের গুরুত্ব কেন?

• দেশের রক্ষা ও সুরক্ষায় CISF-এর ভূমিকাকে স্বীকৃতি ও প্রশংসা করার সুযোগ।
• কর্মীদের তাদের সাহস, ত্যাগ এবং নিষ্ঠার জন্য সম্মানিত করা হয়।
• ভারতের শিল্প ও অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
• তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এই বাহিনীর কাজগুলিকে তুলে ধরা হয়।

CISF স্থাপন দিবস ২০২৫: এই দিনে কী কী বিশেষ হবে?

• বিশেষ প্যারেড ও সম্মান অনুষ্ঠান: এই দিনে CISF জওয়ানদের দ্বারা বিশেষ প্যারেডের আয়োজন করা হয়, যেখানে জওয়ানদের শৃঙ্খলা ও শক্তির প্রদর্শন করা হয়।
• সাইক্লোথন ও সচেতনতা কর্মসূচী: এ বছর ‘সুরক্ষিত সমুদ্রতট, সমৃদ্ধ ভারত’ থিমের আওতায় সাইক্লোথন এবং অন্যান্য কর্মসূচীর আয়োজন করা হবে।
• পুরস্কার ও সম্মাননা: এই দিনে সেইসব কর্মীদের সম্মানিত করা হয় যারা অনন্য বীরত্ব ও সেবা भाव দেখিয়েছেন।

CISF-এর পূর্ণরূপ এবং এর কর্মক্ষেত্র

• CISF-এর পূর্ণরূপ – কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী (Central Industrial Security Force)
• এই বাহিনী গৃহ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
• CISF মূলত শিল্প ইউনিট, বিমানবন্দর, মেট্রো স্টেশন, সরকারি ভবন, বন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাঙ্গণের সুরক্ষা করে।

CISF স্থাপন দিবস কেবলমাত্র একটি তারিখ নয়, বরং সেইসব বীর জওয়ানদের সমর্পণ ও পরিশ্রমের প্রতীক যারা দেশের সুরক্ষায় দিনরাত কাজ করে যান। ১০ মার্চ ২০২৫ সালে CISF স্থাপন দিবসে আমাদের সকলের উচিত এই বাহিনীর অবদানকে শ্রদ্ধা জানানো এবং এর গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ রাখা।

Leave a comment