চৈত্র নবরাত্রির ষষ্ঠ দিন মা কাত্যায়নীকে উৎসর্গ করা হয়। মা কাত্যায়নী শক্তি ও সাহসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিতা হন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে বিধিপূর্বক পূজা করলে ভক্তগণ শত্রুদের উপর বিজয় লাভ করেন এবং জীবনে আসা বাধাগুলি দূর হয়। ২০২৫ সালে চৈত্র নবরাত্রির ষষ্ঠ দিন, ৩রা এপ্রিল, মা কাত্যায়নীর পূজা বিধিপূর্বক সম্পন্ন করা হবে।
মা কাত্যায়নীর স্বরূপ ও গুরুত্ব
মা কাত্যায়নীর স্বরূপ অত্যন্ত তেজোময় এবং বীরতায় পরিপূর্ণ। দেবী চার হাতে যুক্ত, যার একটি হাতে তলোয়ার, অন্যটিতে কমল ফুল, তৃতীয়টিতে অভয় মুদ্রা এবং চতুর্থটিতে বরদ মুদ্রা। সিংহারোহী মা কাত্যায়নীর তেজে ভক্তদের দুঃখ দূর হয়। দেবী কাত্যায়নীকে ব্রজমণ্ডলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবেও মনে করা হয়।
পূজাবিধি
সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন।
মা কাত্যায়নীর প্রতিমাকে হলুদ বসনা পরিধান করান।
পূজা স্থলে প্রদীপ জ্বালিয়ে কুমকুম, হলুদ এবং চন্দন দিয়ে তিলক করুন।
মা কাত্যায়নীর আহ্বান জানিয়ে তাঁর ধ্যান করুন।
বিশেষ করে হলুদ ও লাল রঙের ফুল অর্পণ করুন।
দুর্গা সপ্তশতীর ষষ্ঠ অধ্যায় পাঠ করুন।
অন্তে মা কাত্যায়নীর আরতি করুন এবং সুস্বাস্থ্য ও সুখ-সমৃদ্ধির প্রার্থনা করুন।
ভোগ ও মায়ের প্রিয় ফুল
মা কাত্যায়নীকে মধু এবং হলুদ রঙের ভোগ অত্যন্ত প্রিয়। ভক্তগণ বেসনের লাড্ডু অথবা কেশরিয়া ভাত ভোগ হিসেবে অর্পণ করতে পারেন। এছাড়াও, দেবীকে জুঁই ফুল বিশেষ করে অর্পণ করুন। বিশ্বাস করা হয় যে মা কাত্যায়নীর পূজায় এগুলি অর্পণ করলে আরোগ্য, ধন ও যশ লাভ হয়।
মন্ত্র জপ করুন
যা দেবী সর্বভূতেষু মা কাত্যায়নী রূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥
চন্দ্রহাসোজ্জ্বলকরা শার্দূলবরবাহনা।
কাত্যায়নী শুভং দদ্যাদ্ দেবী দানবঘাতিনী॥
পূজার ফল
মা কাত্যায়নীর পূজার দ্বারা শুধুমাত্র শত্রুদের উপর বিজয়ই লাভ হয় না, বরং জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধির আগমন ঘটে। যাদের মন নেতিবাচক চিন্তায় পীড়িত, তাদের জন্য মায়ের কৃপা অমোঘ বলে মনে করা হয়। এই দিনে মায়ের আশীর্বাদ লাভের জন্য পূর্ণ শ্রদ্ধা ও নিয়মে পূজা অবশ্যই করতে হবে।
