Samsung Electronics-এর সহ-সিইও হান জং-হির হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি Samsung-এ যোগদান করেছিলেন। এখন তাঁর দায়িত্ব জুন ইয়ং-হুনের উপর ন্যস্ত হবে।
Samsung Electronics-এর সহ-সিইও হান জং-হির মঙ্গলবার হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। ৬৩ বছর বয়সী হান প্রায় ৪০ বছর ধরে Samsung-এর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি কোম্পানির কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল ডিভিশনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কোম্পানিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারণ তিনি Samsung-এর কৌশল ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু
কোম্পানির পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, হান জং-হিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। হান টেলিভিশন ব্যবসায় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এবং Samsung-এর টিভি ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর মৃত্যুর ফলে কোম্পানির কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসায় প্রভাব পড়তে পারে।
কোন ভার Samsung-এর নেতৃত্বের?
হান জং-হির মৃত্যুর পর কোম্পানির দায়িত্ব জুন ইয়ং-হুনের কাঁধে এসেছে। জুন ইয়ং-হুনকে গত সপ্তাহেই Samsung-এর সহ-সিইও করা হয়েছিল। তবে, এখনও কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি যে হানের স্থায়ী উত্তরাধিকারী কে হবেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, বোর্ড শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
হান জং-হির ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান
হান জং-হির নেতৃত্বে Samsung টিভি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসায় অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে। তিনি কোম্পানির কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল ব্যবসাকে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমাগত নতুন কৌশলে কাজ করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কোম্পানিটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, কারণ তিনি Samsung-এর ব্যবসায় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে ব্যস্ত ছিলেন।
শেয়ারহোল্ডার্স মিটিং-এ করেছিলেন বড় প্রকাশ
হান গত সপ্তাহে শেয়ারহোল্ডার্সদের সাথে একটি বৈঠক করেছিলেন, যেখানে তিনি ২০২৫ সালকে কোম্পানির জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন যে, Samsung সেমিকন্ডাক্টর মার্কেটে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে কোম্পানি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে নিজের উপস্থিতি তৈরি করতে পারেনি।
হানের মৃত্যুর পর এখন দেখার বিষয় হলো Samsung কীভাবে এই দুঃসময় পার করবে এবং কোম্পানির নতুন নেতা কীভাবে তাঁর উত্তরাধিকার বহন করবেন।
