QS বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং ২০২৬-এ IIT দিল্লি ২৭ ধাপ লাফিয়ে ১২৩তম স্থান অর্জন করেছে। এই সাফল্যের সাথে এটি ভারতের নম্বর-১ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
IIT Delhi QS Ranking 2026: ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এটি গর্বের মুহূর্ত। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) দিল্লি QS বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং ২০২৬-এ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ র্যাঙ্ক অর্জন করে দেশে প্রথম স্থান দখল করেছে। এই বছর IIT দিল্লি ২৭ ধাপ লাফিয়ে ১২৩তম স্থান অর্জন করেছে। এর আগে এই প্রতিষ্ঠানটি ১৫০তম স্থানে ছিল।
৮ বছর পর সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং
IIT দিল্লি গত আট বছরে প্রথমবার এত চমৎকার পারফরম্যান্স করেছে। গত কয়েক বছরে ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে, কিন্তু এই বার IIT দিল্লির লাফ সবচেয়ে প্রভাবশালী বলে মনে করা হচ্ছে। এটি কেবল প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, সমগ্র ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার জন্যই একটি বড় ইঙ্গিত যে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলি এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় দৃঢ়ভাবে উঠে আসছে।
IIT বোম্বেকে পিছনে ফেলে
গত কয়েক বছর ধরে IIT বোম্বে ভারতের শীর্ষ র্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু এই বার IIT দিল্লি তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। IIT বোম্বের র্যাঙ্কিং এ বছর ১১ ধাপ নেমে ১২৯ হয়েছে। গত এক দশকে ৬ বার ভারতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হওয়া IIT বোম্বে এবার দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের অবস্থান
QS বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং ২০২৬-এ ভারতের প্রায় ৫০% বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি দেখা গেছে। এই বছর মোট ৪৬ টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান গবেষণা, অনুষদ-ছাত্র অনুপাত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো মানদণ্ডে ভালো পারফরম্যান্স করেছে।
র্যাঙ্কিং কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
QS বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং নির্ধারণের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়। এই মানদণ্ডগুলির মধ্যে রয়েছে:
শিক্ষাগত খ্যাতি (Academic Reputation): বিশ্বজুড়ে শিক্ষাবিদদের মতামতের উপর ভিত্তি করে।
নিয়োগকর্তা খ্যাতি (Employer Reputation): কতটা স্নাতকদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
অনুষদ-ছাত্র অনুপাত (Faculty-Student Ratio): ছাত্রদের কতটা ব্যক্তিগত শিক্ষাগত সহায়তা পাওয়া যায়।
গবেষণা আউটপুট এবং উদ্ধৃতি (Research Output and Citations): আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণাকার্যের প্রভাব।
আন্তর্জাতিক অনুষদ এবং ছাত্রদের সংখ্যা (International Faculty and Students): প্রতিষ্ঠানের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা।
IIT দিল্লি এই সকল মানদণ্ডে নিজেকে উন্নত করেছে। বিশেষ করে গবেষণা আউটপুট, শিক্ষাগত খ্যাতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
MIT বিশ্বের নম্বর-১ বিশ্ববিদ্যালয়
যেখানে ভারতের জন্য এটি গর্বের খবর, সেখানে বিশ্বব্যাপী আবারও Massachusetts Institute of Technology (MIT) শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। MIT ক্রমাগত ১৪তম বার QS বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের নম্বর-১ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে যে আমেরিকার প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও বিশ্বে সবচেয়ে অগ্রণী।