ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আতঙ্কে জার্মানির IRIS-T SLM বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে চাইছে পাকিস্তান। তবে অর্থনৈতিক সংকট এর বৃহত্তম প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে।
IRIS-T SLM System: ভারতের অতিসোনিক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই আক্রমণের পর পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে।
জার্মানি থেকে IRIS-T SLM ব্যবস্থা কেনার পরিকল্পনা
পাকিস্তান এখন জার্মানি থেকে IRIS-T SLM (Surface Launched Medium Range) বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনার চেষ্টা করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্রহ্মোসের মতো হুমকি মোকাবেলায় বেশ কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান আশা করছে এতে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।
চীন থেকে পাওয়া প্রযুক্তি ব্যর্থ হয়েছে
এখন পর্যন্ত পাকিস্তান চীনের HQ-9 এবং HQ-16 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে, কিন্তু এই ব্যবস্থাগুলি ভারতের দ্রুতগতির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণেই পাকিস্তান এখন পশ্চিমা প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকেছে।
IRIS-T SLM ব্যবস্থার কার্যক্ষমতা
IRIS-T SLM জার্মানি কর্তৃক উন্নত একটি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা মডুলার এবং মোবাইল। এই ব্যবস্থাটি ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতিবেদন অনুসারে, এখন পর্যন্ত 60 টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুকে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এটি এর নির্ভরযোগ্যতা এবং শক্তি প্রমাণ করে।
ব্যবস্থার ব্যয় এবং প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
এই ব্যবস্থাটি একটি ২০ ফুটের ফ্রেমে রাডার, অপারেশন সেন্টার এবং লঞ্চার সহ ফিট হয়। এর একটি ইউনিটের দাম প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের জন্য এত বেশি ব্যয়বহুল ব্যবস্থা কেনা সহজ হবে না, বিশেষ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি
যদিও পাকিস্তান তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তবুও তারা তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ১৮% বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে প্রায় ১,০০০ কোটি পাকিস্তানি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও, সম্প্রতি পাকিস্তান IMF এবং ADB থেকে ১.৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
ভারত-জার্মানি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
IRIS-T SLM ব্যবস্থা উন্নয়নকারী জার্মান কোম্পানি ডিল ডিফেন্স, ভারতের সাথে মিলে P-75I সাবমেরিন প্রকল্পেও কাজ করছে। इसमें इंटरएक्टिव डिफेंस और अटैक सिस्टम (IDAS) शामिल है, जो भारतीय नौसेना के लिए छह एडवांस्ड सबमरीन विकसित करेगा। यह प्रोजेक्ट लगभग 70,000 करोड़ रुपये का है।