নীতীশ কুমারের কঠোর নির্দেশ: আরটিই আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিগত স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নীতীশ কুমারের কঠোর নির্দেশ: আরটিই আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিগত স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সর্বশেষ আপডেট: 18-03-2025

বিহার বিধানসভার বর্তমান অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শিক্ষার অধিকার (আরটিই) আইনের কঠোর পালনের কথা বলেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, যে কোনও ব্যক্তিগত স্কুল যদি এই আইন লঙ্ঘন করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাটনা: বিহার বিধানসভার বর্তমান অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শিক্ষার অধিকার (আরটিই) আইনের কঠোর পালনের কথা বলেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, যে কোনও ব্যক্তিগত স্কুল যদি এই আইন লঙ্ঘন করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএম-এর এই ঘোষণার পর বিরোধী দল এই সিদ্ধান্তের স্বাগত জানিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে।

বিধানসভায় বিরোধীদের হট্টগোল এবং সিএম-এর জবাব

বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়করা ওয়েলে এসে হট্টগোল শুরু করেন। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের অনেক ব্যক্তিগত স্কুল আরটিই আইন মানছে না এবং গরিব ও দুর্বল শ্রেণীর শিশুদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য শিশুদের ভর্তি করছে। হট্টগোলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যা করতে চান করুন, আমরা আপনাদের প্রশংসা করব।" তিনি বিরোধী বিধায়কদের তাদের আসনে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেন, যাতে সকলেই সম্মত হন।

মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমারকে এই বিষয়টির পুরোপুরি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কর্মকর্তাদের গ্যালারিতে বসা শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডাঃ এস. সিদ্ধার্থকেও তদন্ত করার জন্য বলেছেন। দারভঙ্গা গ্রামীণের বিধায়ক ললিত কুমার যাদব এবং ঢাকার বিধায়ক পবন জয়সওয়াল এই বিষয়টি সদনে জোরেশোরে তুলে ধরেছেন।

তারা অভিযোগ করেছেন যে, ডিপিএস পাটনা এবং ডিওয়াই পাটিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সহ অনেক ব্যক্তিগত স্কুল গরিব ও দুর্বল শ্রেণীর শিশুদের জন্য সংরক্ষিত আসনে ভর্তি করছে না। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার বলেন, "আমাদের স্বীকার করতে হবে যে আরটিই-র আওতায় ভর্তি আশানুরূপ হয়নি। যেসব জেলায় স্কুলগুলি আরটিই-র আওতায় ভর্তি করেনি, সেখানকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কাছ থেকে উত্তর চাইবে।"

সরকারের বড় সিদ্ধান্ত

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ও ব্যক্তিগত উভয় স্কুলেই একই ছাত্রের ভর্তি হয়ে যায়, যার ফলে সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এখন সকল স্কুলে ছাত্রদের আধার সিডিং বাধ্যতামূলক করা হবে। বিহার সরকারের ব্যক্তিগত স্কুলগুলির জবাবদিহিতা নির্ধারণের এই পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সরকার স্পষ্ট করেছে যে শিক্ষার অধিকার আইন পালন না করা স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে প্রতিটি শ্রেণীর শিশুরা সমান সুযোগ পায়।

Leave a comment