মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন, যেখানে তিনি দিল্লির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন। সাক্ষাতের সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের একটি স্মারকও উপহার দিয়েছেন।
নতুন দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে একটি বিশেষ সাক্ষাত করেছেন, যা কেবলমাত্র রাজধানীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে নয়, দেশপ্রেম এবং সামাজিক অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে একটি নতুন দিক নির্দেশ করে। এই সাক্ষাতে রেখা গুপ্তা প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানীতে চলমান প্রধান কাজগুলির বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলির রূপরেখা ভাগ করে নিয়েছেন।
এছাড়াও, তিনি জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের একটি স্মারক উপহার দিয়ে সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার উপর জোর দিয়েছেন, যাতে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম এবং জাতি গঠনের भावনা বিকাশ করা যায়।
দিল্লির জন্য যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি
মুখ্যমন্ত্রী এই সাক্ষাতকে অনুপ্রেরণাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্ব থেকে তিনি নতুন শক্তি এবং সংকল্প পেয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেছেন, যেখানে দিল্লি কেবলমাত্র একটি অগ্রগতিশীল এবং স্মার্ট রাজধানী নয়, বরং জন-সহভোগিতাভিত্তিক আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
এক্স (পূর্বে টুইটার) এ ছবি শেয়ার করে সিএম গুপ্তা লিখেছেন, দিল্লির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনা এবং সমর্থন আমাদের ক্রমাগত শক্তি প্রদান করে। আমরা একসাথে 'উন্নত দিল্লি'র লক্ষ্য অর্জনে কাজ করব।
সবুজ অভিযান এবং স্বচ্ছতার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ
মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীকে সবুজ দিল্লি তৈরির দিকে নেওয়া দৃঢ় পদক্ষেপের তথ্যও দিয়েছেন। চলতি বছরে দিল্লিতে ৭০ লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 'একটি গাছ মা'র নামে ২.০' অভিযানটিকে একটি সামাজিক অভিযান হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেখানে স্কুল, কলেজ, আরডাব্লিউএ এবং সাধারণ নাগরিকদের জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়াও, উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন এবং রাস্তার ধারের ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই কাজগুলিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সাথে জুড়ে পরিবেশগত স্থায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
কুড়ার ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার
দিল্লি সরকার কুড়ার ব্যবস্থাপনাকে একটি চ্যালেঞ্জ থেকে সুযোগে পরিণত করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এখন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কুড়ার বৈজ্ঞানিক নিষ্কাশনের দিকে কাজ হচ্ছে। এর ফলে দিল্লিতে স্বচ্ছতার মান উন্নত হবে এবং আবর্জনার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন যেমন বিকল্প মডেলও গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই সাক্ষাতে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির প্রতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ভাগ করে নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে সকল সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় পরিদর্শন করানো হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জাতির সংগ্রাম এবং অবদানের সাথে পরিচিত করা হবে। এই অভিযানের আওতায় ইন্টারনেট মিডিয়া এবং জনসংযোগের মাধ্যমে জনসচেতনতা কর্মসূচীও পরিচালনা করা হবে, যেখানে দিল্লির নাগরিকদের এই স্থানগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্বের সাথে যুক্ত করা হবে।