রজনী পাটিলকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, যিনি রাজীব শুক্লার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি আগেও হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন, ফলে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাঁর ভালো পরিচয় আছে।
শিমলা: রজনী পাটিলকে পুনরায় হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (AICC) রাজীব শুক্লাকে সরিয়ে এই দায়িত্ব পাটিলকে দিয়েছে। এই ব্যাপারে শুক্রবার রাতে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের বাসভবনে হওয়া একটা বৈঠকের একদিন পর। এর আগে, মে ২০১৮ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত রজনী পাটিল হিমাচলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন, সেই সময় কুলদীপ রাঠৌর ছিলেন রাজ্য সভাপতি।
রজনী পাটিলের জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৮ সালে হয়েছিল এবং তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। নতুন কমিটি গঠন এবং আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের পারফরম্যান্স উন্নত করা তাঁর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
রজনী পাটিলকে দেওয়া হিমাচল প্রদেশের দায়িত্ব
২০২০ সালে কংগ্রেস পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব শুক্লাকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নিযুক্ত করেছিল। তাঁর নেতৃত্বে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতা অর্জন করেছিল। তবে, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাজ্যের চারটি আসনেই পরাজিত হয়। এই সময় দলের অভ্যন্তরে বিরোধও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়, যার ফলে কংগ্রেসের অবস্থা দুর্বল হয়। এই বিষয়গুলি বিবেচনা করেই, এখন রজনী পাটিলকে পুনরায় হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রজনী পাটিলকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর দায়িত্ব কেন দেওয়া হলো?
রজনী পাটিল আগেও হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন, তাই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাঁর খুব ভালো পরিচয় আছে। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে তাঁকে পুনরায় রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর দায়িত্ব দিয়েছে। এই বছরের শেষে পঞ্চায়েত রাজ নির্বাচন এবং পরের বছর কিছু পৌর নির্বাচন হবে। এমন পরিস্থিতিতে, নতুন রাজ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর সামনে প্রথমে নতুন কমিটি গঠন এবং তারপর নির্বাচনে দলের পারফরম্যান্স উন্নত করার চ্যালেঞ্জ থাকবে।
আগে যখন রজনী পাটিল হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন, তখন পঞ্চায়েত রাজ এবং পৌর নির্বাচনে কংগ্রেস চমৎকার পারফরম্যান্স করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে, দল আশা করছে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস পুনরায় শক্তিশালী হবে।