চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় চীনকে সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত নয় এবং তা কোন তৃতীয় দেশের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
ওয়াশিংটন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতের প্রতি চীন সংযত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়া কুন বলেছেন যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় চীনকে সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত নয় এবং তা কোন তৃতীয় দেশের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। তিনি আরও বলেছেন যে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের কেন্দ্র, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নয়।
চীনের প্রতিক্রিয়ার বিশ্লেষণ
ভারত-আমেরিকা সহযোগিতার প্রতিক্রিয়া জানাতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়া কুন বলেছেন যে, কোনও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় চীনকে সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত নয় এবং তৃতীয় পক্ষের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেছেন যে, বিশেষ গোষ্ঠী গঠন, গোষ্ঠীবদ্ধ রাজনীতি এবং সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে না, বরং এতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং সমগ্র বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
ভারত-আমেরিকা আলোচনা এবং চীনের প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা, হিন্দ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং কোয়াড জোটকে আরও কার্যকরী করে তোলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, উভয় দেশ ভারত-আমেরিকা প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছে এবং ‘ইউএস-ইন্ডিয়া কম্প্যাক্ট’ নামে একটি নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে, যার উদ্দেশ্য সামরিক অংশীদারিত্ব, দ্রুত বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
উভয় নেতা স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ হিন্দ-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন এবং কোয়াড জোট (ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। চীন এই জোটকে তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক উত্থানের বাধা হিসেবে বিবেচনা করে, যার ফলে অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে ভারত এবং আমেরিকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বৃদ্ধি এবং কোয়াডের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে বেইজিং আপত্তি জানিয়েছে এবং এটিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছে।