হরিয়ানভি মিউজিক মডেল শীতল উর্ফে সিমি-র রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে পুলিশের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ট্যাটু থেকে পরিচয়, লাশ সোনিপতে পাওয়া গেছে আর আহত বয়ফ্রেন্ড পাওয়া গেছে পানিপতে। হত্যার আশঙ্কা গভীর, তদন্তে ব্যস্ত পুলিশ।
হরিয়ানা: পানিপতের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী শীতল উর্ফে সিমি হরিয়ানভি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একজন উঠতি মডেল ছিলেন। ১৪ জুন তিনি একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং-এর জন্য গ্রাম আহর গিয়েছিলেন। সেদিনের পর থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। দেরি রাত পর্যন্ত যোগাযোগ না হওয়ায় পরিবারের লোকজন মাতলৌড়া থানায় একটি নিখোঁজের রিপোর্ট দায়ের করে।
সোনিপতের নদীতে পাওয়া গেছে লাশ
ঘটনার দুই দিন পর, সোনিপতের খান্ডা গ্রামের কাছে অবস্থিত রিলায়েন্স নদী থেকে এক যুবতীর লাশ পাওয়া যায়। দেহের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল, যার ফলে পরিচয় স্থাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কलाईতে থাকা একটি বিশেষ ট্যাটু শীতলের পরিচয় উন্মোচন করে। এই ট্যাটুটি শীতলের পরিজনরাও চিনতে পেরেছেন।
গলায় গভীর কাটা
পুলিশ তদন্তে এটা সামনে এসেছে যে শীতলের ঘাড়ে গভীর কাটের চিহ্ন রয়েছে, যা কোনও দুর্ঘটনার নয় বরং হত্যার দিকে ইঙ্গিত করে। ডিএসপি রাজবির সিংও নিশ্চিত করেছেন যে এটি হত্যার ঘটনা। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে সোনিপত পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বয়ফ্রেন্ড সুনীল হাসপাতালে ভর্তি
ঘটনার সময় শীতল তার সঙ্গী সুনীলের সাথে গাড়িতে ছিলেন। পানিপতের নদী থেকে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়, যেখানে সুনীল আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এখন পুলিশ সুনীলের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অবস্থা সংকটজনক।
শুটিং কি শুধুমাত্র একটি অজুহাত ছিল?
এই পুরো ঘটনায় পুলিশের তদন্তের ফোকাস এই বিষয়ে রয়েছে যে, শুটিংয়ের নামে কি শীতলকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে তার হত্যা করা হয়েছিল? নাকি এটি পারিবারিক বিবাদের ঘটনা, যেখানে পরিস্থিতি এতটাই বেড়ে গেছে যে প্রাণহানি ঘটেছে। পুলিশ প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত করছে।
যৌথ তদন্তে নিযুক্ত পানিপত পুলিশ
নিখোঁজের রিপোর্ট পানিপতে দায়ের করা হয়েছিল এবং লাশ সোনিপতে পাওয়া গেছে, তাই দুটি জেলার পুলিশ এখন মিলে এই ঘটনার তদন্ত করছে। কল ডিটেইলস, লোকেশন ডেটা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শীতলের পেশাদারী ব্যাকগ্রাউন্ড
শীতল গত দুই বছর ধরে হরিয়ানভি গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেলিং করে আসছিলেন। তার অনেক অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে এবং তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় ছিলেন। ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুকে তার হাজার হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি তার কর্মজীবন নিয়ে গুরুতর ছিলেন এবং এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।