গুজরাটে ভয়াবহ ঝড়-বৃষ্টিতে ১৪ জনের মৃত্যু, ১৬ জন আহত

গুজরাটে ভয়াবহ ঝড়-বৃষ্টিতে ১৪ জনের মৃত্যু, ১৬ জন আহত
সর্বশেষ আপডেট: 06-05-2025

গুজরাটে হঠাৎ বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ১৪ জনের মৃত্যু, ১৬ জন আহত

Gujarat Weather Alert: গুজরাটে আকস্মিকভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে এবং বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টিপাতের ফলে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। রাজ্য সরকার এবং আবহাওয়া বিভাগ পরবর্তী তিন দিনের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারী বৃষ্টিপাত, বৃষ্টিঝড় এবং প্রবল বাতাসের আশঙ্কা বিবেচনা করে প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

কোথায় কতটা ক্ষতি হয়েছে?

রাজ্যের প্রায় ১৩টি জেলায় হঠাৎ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড়োদরায় বিদ্যুৎ তার এবং ভবনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহমেদাবাদে একটি অটোরিকশার উপর হোর্ডিং পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আরাবল্লি জেলায় আকাশি বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকেও গাছ পড়া, দেওয়াল ধসে পড়া এবং বজ্রপাতের মতো ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। মোটকথা, এই অসময়ে বৃষ্টিপাত কেবল আবহাওয়ার সংকটই নয়, মানুষের জীবন ও সম্পত্তিরও ক্ষতি করেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস কী?

আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে দিয়েছে যে ৬ থেকে ৮ মে পর্যন্ত গুজরাটের ৭৫ শতাংশের বেশি এলাকায় বজ্রপাত, বৃষ্টিঝড় এবং প্রবল বাতাসসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিন দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং মৌসুমি অবস্থা তৈরি হতে পারে।

৬ মে:

এই দিন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ৬০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টা হতে পারে। বিশেষ করে কচ্ছ, বানাসকান্থা, পাটন, মেহসানা, সুরেন্দ্রনগর, আনন্দ, ভরুচ এবং নর্মদা জেলায় প্রবল ঝড় এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি বেশি থাকবে।

৭ মে:

রাজ্যের কিছু এলাকায় ৭০ থেকে ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে বৃষ্টিঝড়ও হতে পারে। অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ঝড় থাকতে পারে।

৮ মে:

তৃতীয় দিনেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। কিছু এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বাতাস বইতে পারে এবং বিশেষ করে সাবরকান্থা, আরাবল্লি, আনন্দ, আমরেলি এবং ভাবনগর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

তাপমাত্রা হ্রাস এবং গরম থেকে আরাম

এই বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে, যার ফলে এপ্রিল-মে মাসের তীব্র গরম থেকে মানুষ কিছুটা আরাম পেতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ হলুদ এবং কমলা সতর্কতাও জারি করেছে, যা গুরুতর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।

প্রশাসনের প্রস্তুতি এবং নাগরিকদের জন্য পরামর্শ

রাজ্য সরকার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সকল জেলায় ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের জন্য দল মোতায়েন করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় NDRF এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্রমাগত নজরদারি করছে।

নাগরিকদের প্রতি আবেদন:

  • আবহাওয়া বিভাগের সতর্কতা গুরুত্বের সাথে নিন।
  • বৃষ্টি বা ঝড়ের সময় বাইরে বেরোবেন না।
  • বিদ্যুৎ খুঁটি, গাছ এবং দুর্বল দেওয়াল থেকে দূরে থাকুন।
  • কোনও জরুরি অবস্থায় প্রশাসনের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।

Leave a comment