গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকিপূর্ণ ইমেল পাওয়া গেছে। আদালত চত্বর খালি করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। সাভুক্কু শঙ্করের গ্রেফতার এবং কসাবের ফাঁসিকে হুমকির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গুজরাট: গুজরাট হাইকোর্টে বোমা হামলার হুমকিপূর্ণ ইমেল পাওয়ার পর সমগ্র চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে দুপুরের পর আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
হুমকিপূর্ণ ইমেল থেকে শুরু হওয়া ঘটনা
সোমবার সকালে গুজরাট হাইকোর্টের আনুষ্ঠানিক ইমেল ঠিকানায় একটি হুমকিপূর্ণ ইমেল আসে। এই ইমেলে বলা হয়েছিল যে হাইকোর্টে বোমা হামলা চালানো হবে। ইমেলে হুমকির দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রথম, সাভুক্কু শঙ্করের গ্রেফতার এবং দ্বিতীয়, ২৬/১১-এর সন্ত্রাসবাদী আজমল কসাবের ফাঁসি। ইমেল পেয়েই হাইকোর্ট প্রশাসন অবিলম্বে পুলিশকে জানায়। এরপর নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সক্রিয় হয় এবং হাইকোর্ট চত্বরে তীব্র তল্লাশি শুরু হয়।
হাইকোর্ট চত্বর খালি করা হয়
হুমকিটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের কার্যক্রম দুপুর ১:৩০ টার পর স্থগিত করা হয়। কাউকেই আদালত চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বোমা স্কোয়াড এবং ডগ স্কোয়াড সমগ্র চত্বরের খুব সাবধানে তল্লাশি করে। আদালত প্রশাসন সকল কর্মী, আইনজীবী এবং দর্শনার্থীদের নিরাপদে বের করে দেয়। এ সময় সমগ্র এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
হুমকির পিছনে উল্লেখিত কারণগুলি
ইমেল প্রেরণকারী হুমকি দেওয়ার পিছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথম, তামিলনাড়ুর সাবেক ডিজিপি সাভুক্কু শঙ্করের কথিত অবৈধ গ্রেফতার এবং দ্বিতীয়, ২৬/১১-এর হামলার দোষী আজমল কসাবকে দেওয়া ফাঁসিকে অনুচিত বলে মনে করা। ইমেলে আরও বলা হয়েছে যে আদালতের রায় পক্ষপাতমূলক এবং তাই এটিকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে।
পালানিস্বামীর বাড়িকেও সম্ভাব্য লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে
ইমেলে শুধুমাত্র হাইকোর্টই নয়, এআইএডিএমকে নেতা এডাপ্পিডি কে. পালানিস্বামীর চেন্নাইয়ের গ্রীনওয়েজ রোডের বাড়িকেও লক্ষ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে হুমকিদাতা শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং অনেক লোক এবং প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করতে চায়।
পুলিশ মামলা দায়ের করেছে
পুলিশ এই হুমকিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে। সাইবার ক্রাইম সেলকেও তদন্তে নিয়োজিত করা হয়েছে যাতে ইমেল প্রেরণকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ইমেলটি একটি অজানা সার্ভার থেকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এর পিছনে কোনও অসন্তুষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তির হাত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হচ্ছে।