চীনের J-35A: ভারতের জন্য নতুন সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ

🎧 Listen in Audio
0:00

এই নতুন জেট কেবলমাত্র পাকিস্তানের বায়ুশক্তিকে বাড়াবে তাই নয়, ভারতের জন্যও নতুন একটা সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। এর আগমনে এলাকায় শক্তির ভারসাম্য বদলে যেতে পারে এবং এর ফলে আমাদের সুরক্ষা ও যুদ্ধের কৌশলগুলিতে প্রভাব পড়বে।

নয়াদিল্লি: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুশক্তির ভারসাম্য এখন এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পৌঁছেছে। চীন পাকিস্তানকে পরবর্তী প্রজন্মের স্টেল্থ ফাইটার J-35A দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে সমগ্র অঞ্চলের সুরক্ষা কৌশলে আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে। এই জেট পাকিস্তানের বায়ু ক্ষমতায় অনেক বেশি শক্তিশালী করবে এবং ভারতের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

J-35A, যাকে FC-31 নামেও জানা যায়, চীনের আধুনিক স্টেল্থ ফাইটার বিমান। যদি পাকিস্তানের কাছে এই বিমান চলে আসে, তাহলে এটিই প্রথমবার হবে যখন তার কাছে এমন একটি বিমান থাকবে যা শত্রুর রাডারে ধরা না পড়ে দীর্ঘ দূরত্ব থেকে আক্রমণ করতে পারবে।

J-35A: শুধু বিমান নয়, বরং শক্তিতে অগ্রগতি

এই জেটটি চীনের কোম্পানি AVIC তৈরি করেছে। এটি আগে নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল, এখন এর বায়ুসেনা সংস্করণও প্রস্তুত হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে চমৎকার রাডার, ইনফ্রারেড সার্চ সিস্টেম, নেটওয়ার্ক-ওয়ারফেয়ার এবং দ্রুত গতির মতো বৈশিষ্ট্য। এই জেটে থাকা PL-15 এবং PL-17 ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ বিমানগুলিকে ২৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে সহজেই লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এর অর্থ হল পাকিস্তান শত্রুকে দেখা ছাড়াই আক্রমণ করতে পারবে, যা ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

ভারতের কাছে কী আছে?

বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে রাফেল, Su-30MKI, Mirage-2000, MiG-29UPG এবং Tejas Mk1 এর মতো অনেক যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা বেশিরভাগই চতুর্থ প্রজন্মের বিমান বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে রাফেলই J-35A-র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম, বিশেষ করে এর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইলেকট্রনিক সিস্টেমের কারণে। কিন্তু রাফেলে স্টেল্থ প্রযুক্তি কম, যার ফলে J-35A-র তুলনায় দীর্ঘ দূরত্বের যুদ্ধে এটি দুর্বল হতে পারে। Su-30MKI খুব দ্রুত, কিন্তু এর রাডার সিগনেচার বেশি, তাই এটি স্টেল্থ জেটের সামনে দ্রুত ধরা পড়তে পারে।

J-35A আগমনে কী পরিবর্তন হতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পাকিস্তান এই জেটগুলি পায়, তাহলে এটি ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এই বিমান পাকিস্তানকে ভারতের ভেতরেও গভীরে আক্রমণ করার ক্ষমতা দেবে এবং ভারতীয় বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ বিমানগুলিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।

ভারতকে কী করণীয়?

এই ঝুঁকির মোকাবেলা করার জন্য ভারতকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:

  • AMCA প্রকল্পকে ত্বরান্বিত করুন: ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ ফাইটার AMCA দ্রুত তৈরি করুন যাতে দেশীয় প্রযুক্তি শক্তিশালী হয়।
  • রাফেল স্কোয়াড্রন বৃদ্ধি করুন: রাফেলের আরও ক্রয় করুন যাতে আমাদের বায়ুশক্তি আরও শক্তিশালী হয়।
  • AEW&C এবং AWACS বিমানের সংখ্যা বাড়ান: এই বিমানগুলি থেকে আকাশে শত্রুর কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হয়।
  • XRSAM এবং S-400 ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম দ্রুত স্থাপন করুন: এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি শত্রুর দীর্ঘ দূরত্বের আক্রমণের জবাব দিতে পারে।
  • ইলেকট্রনিক এবং সাইবার সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দিন: স্টেল্থ জেটের বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং সাইবার সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তাই এই ক্ষেত্রগুলিতে দ্রুত কাজ করুন।

Leave a comment