ইডি ভূপেশ বঘেলের পুত্র চৈতন্য বঘেলকে সমন পাঠিয়েছে। মদ কেলেঙ্কারীতে জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব। ১০ মার্চের অভিযানে পাওয়া নথিপত্র নিয়ে তদন্ত চলছে।
চৈতন্য বঘেল সংবাদ: ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের পুত্র চৈতন্য বঘেলের মুশকিল বাড়তে পারে। ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছে, এবং আজ তাকে সংস্থার সামনে হাজির হতে হতে পারে। ছত্তিশগড়ের কথিত মদ কেলেঙ্কারীতে চৈতন্যের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হচ্ছে।
ভূপেশ বঘেলের বাড়িতে অভিযান
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ ইডি-এর একটি দল ভূপেশ বঘেলের বাসভবন এবং অন্যান্য ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। এই সময় তারা অনেক পরিমাণ নগদ অর্থ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পেয়েছিল। এই নথিপত্র এবং নগদ অর্থের উৎস সম্পর্কে এজেন্সি এখন চৈতন্য বঘেলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
প্রাক্তন আবগারী মন্ত্রী ইতোমধ্যেই জেলে
এই কথিত কেলেঙ্কারীতে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন আবগারী মন্ত্রী কাওয়াসি লাখমা ইতোমধ্যেই জেলে রয়েছেন। এছাড়াও, অনেক কর্মকর্তা এবং মদ ব্যবসায়ীর গ্রেফতার হয়েছে। ইডি এই মামলায় আরও গ্রেফতার করতে পারে।
চৈতন্য বঘেল কে?
চৈতন্য বঘেল ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের পুত্র এবং তাকে ‘বিট্টু’ নামেও জানা হয়। তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে যুক্ত এবং ‘ভিক্টর পুরম’ নামে বিলাসবহুল আপার্টমেন্ট তৈরি এবং বিক্রয়ের কাজ করেন। একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিনি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এবং ব্যাপক পরিমাণে রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেন।
ছত্তিশগড় মদ কেলেঙ্কারী কী?
ইডি-এর মতে, ২০২৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ছত্তিশগড়ে মদ কেলেঙ্কারী হয়েছিল, যাতে প্রায় ২১৬১ কোটি টাকার কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। এজেন্সির দাবি, এই কেলেঙ্কারীতে সরকারী কোষাগারকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
২০২৩ সালে ইডি এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছিল, যাতে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িত ছিল। এদের মধ্যে রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র এজাজ ঢেবার, প্রাক্তন আইএএস অফিসার অনিল টুটেজা, এবং ছত্তিশগড় রাজ্য বিপণন নিগম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুণপতি ত্রিপাঠী উল্লেখযোগ্য। ইডি-এর মতে, এই ব্যক্তিরা এই কেলেঙ্কারীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।