দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস মঙ্গলবার রাতে তাদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি নতুন প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ বিধায়ক প্রথমবারের মতো নির্বাচনী ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন, যারা আপ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
দিল্লি নির্বাচন: কংগ্রেস দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার রাতে তাদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে মোট ২৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় ৫০ শতাংশের বেশি নতুন মুখ রয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রথমবারের মতো বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় নেতৃত্ব নতুন মুখদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু কিছু প্রবীণ নেতা এবং দলের অভ্যন্তরের লোকজন এতে অসন্তুষ্ট।
নতুন মুখ এবং পুরনো নেতাদের উপেক্ষা
কংগ্রেসের এই দ্বিতীয় তালিকায় মোট ১৬ জন নতুন প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে এই মুখগুলোর দলে পর্যাপ্ত পরিচিতি এবং অভিজ্ঞতা আছে কি না। দলের অভ্যন্তরে অনেক প্রবীণ নেতা এই নতুন প্রার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে দল অনেক নিবেদিত এবং অভিজ্ঞ নেতাকে উপেক্ষা করেছে। ত্রিনগরের প্রবীণ নেতা চতর সিং এবং জংপুরার দীনেশ কুমার অ্যাডভোকেটের মতো নেতাদের টিকিট না দেওয়ায় সমালোচনা হচ্ছে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন
কংগ্রেসের প্রার্থীদের নিয়ে দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিছু সূত্রের খবর, কংগ্রেস কিছু আসনে আপ এবং বিজেপি উভয় দলকেই ওয়াকওভার দিয়েছে। আবার কিছু আসনে এমন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, যাদেরকে আম আদমি পার্টি টিকিট দেয়নি, যা নির্বাচনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, জংপুরা থেকে আপের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে কংগ্রেস ফরহাদ সুরিকে প্রার্থী করেছে। এছাড়াও, মালব্য নগর থেকে জিতেন্দ্র কুমার কোচার এবং দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার প্রদীপ কুমার উপমনুকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন বিধায়ক ও নতুন জেলা সভাপতিরা ময়দানে
কংগ্রেস এবার তাদের তিন জেলা সভাপতি, গুরচরণ সিং রাজু, রাজেশ চৌহান এবং ধর্মপাল চান্দেলাকে টিকিট দিয়েছে। এছাড়াও, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রাক্তন বিধায়ক রাজেশ লিলোঠিয়াকে সীমা পুরী থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস মেহরাউলি থেকে প্রাক্তন মেয়র সতবীর সিংয়ের স্ত্রী পুষ্পা সিং এবং সঙ্গম বিহার থেকে প্রাক্তন বিধায়ক শীশপালের ছেলে হর্ষ চৌধুরীকেও প্রার্থী করেছে।
কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এছাড়াও, হাজী ইসরাক খান, যিনি আগে আম আদমি পার্টির শীলামপুরের বিধায়ক ছিলেন, তাঁকেও কংগ্রেস বাবরপুর আসনে প্রার্থী করেছে। এই আসনে তিনি আপের রাজ্য আহ্বায়ক গোপাল রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এতে দলের বিরোধীরা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে পারেন।
কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত দুটি তালিকায় মোট ৪৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, যেখানে আরও ২৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা বাকি আছে। দলের এই পদক্ষেপ আসন্ন নির্বাচনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।