অসমে এনডিএ'র বড় জয়: দুই প্রার্থী নির্বিরোধে রাজ্যসভায় নির্বাচিত

অসমে এনডিএ'র বড় জয়: দুই প্রার্থী নির্বিরোধে রাজ্যসভায় নির্বাচিত
সর্বশেষ আপডেট: 13-06-2025

অসম থেকে জাতীয় জনতান্ত্রিক গঠবন্ধন (এনডিএ)-এর জন্য একটি বড় এবং ইতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে। এখান থেকে এনডিএ-র দুই প্রার্থী রাজ্যসভায় নির্বিরোধ নির্বাচিত হয়েছেন, যার ফলে দলের রাজ্যসভায় অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।

গুয়াহাটি: অসম থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে জাতীয় জনতান্ত্রিক গঠবন্ধন (এনডিএ) ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র কণাদ পুরকায়স্থ এবং অসম গণ পরিষদ (এজিপি)-র জ্যেষ্ঠ নেতা বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্য নির্বিরোধে রাজ্যসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই সাফল্য তখন অর্জিত হয়েছে যখন বিরোধী দলগুলি কোনও প্রার্থী দাঁড় করায়নি।

এই রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ রাজ্যে এনডিএ-র প্রভাব এবং ঐক্যকে উজ্জ্বল করে তুলেছে, পাশাপাশি এটাও দেখিয়েছে যে বর্তমানে অসমের রাজনীতিতে বিজেপি গঠবন্ধনের আধিপত্য কতটা শক্তিশালী।

নির্বিরোধ জয়: বিরোধীদের নিষ্ক্রিয়তার ফলে সহজ হয়েছে পথ

অসম বিধানসভা সচিবালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মনোনয়নের শেষ তারিখ ছিল ১২ জুন (বৃহস্পতিবার)। কিন্তু কোনও বিরোধী দলই প্রার্থী দাঁড় করায়নি, যার ফলে বিজেপি এবং এজিপি-র প্রার্থীরা নির্বিরোধে জিতে গেছেন। এই পরিস্থিতি তখন দেখা দিয়েছে যখন অন্য কোনও দলের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যায়নি।

কণাদ পুরকায়স্থ প্রথমবার রাজ্যসভায় যোগদান করছেন, কিন্তু রাজনীতি তাঁর রক্তে মিশে আছে। তিনি বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবিন্দ্র পুরকায়স্থের পুত্র। সিলেটের বাসিন্দা কণাদ বর্তমানে বিজেপির অসম ইউনিটের সচিব এবং সাংগঠনিক পর্যায়ে তাঁকে একজন কৌশলী ও দক্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজ্যসভায় তাঁর উপস্থিতি বিজেপিকে যুব নেতৃত্ব হিসেবে একটি নতুন কণ্ঠ দেবে।

অন্য নির্বাচিত প্রার্থী বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্য অসম গণ পরিষদের জ্যেষ্ঠ নেতা। এটি রাজ্যসভায় তাঁর তৃতীয় कार्यकाल হবে। তিনি পূর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভা সদস্যও ছিলেন। বৈশ্যকে অসমের রাজনীতিতে একজন অভিজ্ঞ ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। এনডিএ রাজ্যসভায় তাঁর উপস্থিতির ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কণ্ঠ আরও শক্তিশালী হবে।

অসমে রাজ্যসভার অবস্থা

অসম থেকে রাজ্যসভার মোট সাতটি আসন রয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে:

  • ৪ টি বিজেপির কাছে
  • ১ টি এজিপির কাছে
  • ১ টি ইউপিপিএল-এর কাছে
  • এবং ১ টি নির্দলীয় সাংসদ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে।

বৈশ্য এবং বিজেপি নেতা রঞ্জন দাসের कार्यकाल ১৪ জুন শেষ হচ্ছিল, যাদের স্থলে এখন নতুন সদস্যদের নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন এই দুটি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নির্বিরোধ নির্বাচনের ফলে এখন আর ভোটের প্রয়োজন হয়নি।

Leave a comment