আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শিকারদের শনাক্তকরণের জন্য DNA পরীক্ষা চলছে। ডাকোরের পূর্ণিমাবেন প্যাটেলের মৃতদেহের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তা তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: আহমেদাবাদে সংঘটিত ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর মৃতদের শনাক্তকরণ প্রশাসনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছিল। অনেক মৃতদেহ ভয়াবহভাবে পুড়ে গিয়েছিল, যার ফলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতিতে মৃতদের শনাক্ত করার জন্য DNA পরীক্ষার আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। এই ধারাবাহিকতায় খেড়া জেলার ডাকোরের বাসিন্দা পূর্ণিমাবেন প্যাটেলের শনাক্তকরণ DNA রিপোর্টের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
ছেলের সাথে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছিলেন
পূর্ণিমাবেন প্যাটেল একজন মা হিসেবে ছেলের সাথে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছিলেন। কিন্তু কে জানতো এটিই হবে তাঁর শেষ যাত্রা। বিমান দুর্ঘটনার পর তাঁর পরিবারের জন্য এটি এক ভয়ঙ্কর স্বপ্নের চেয়ে কম ছিল না। যতক্ষণ পর্যন্ত DNA পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছিলেন না। অবশেষে যখন রিপোর্ট এলো এবং শনাক্তকরণ হলো, তখন মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মৃতদেহ পৌঁছাতেই গ্রামে শোকের জোয়ার
যখনই পূর্ণিমাবেনের মৃতদেহ ডাকোরের তাঁর বাড়িতে পৌঁছায়, তখনই গোটা গ্রামে শোকের জোয়ার বয়ে যায়। মানুষের চোখে জল, আর সকলেই এই অকাল মৃত্যুতে দুঃখিত। শেষবারের জন্য তাঁর দর্শনের জন্য তাঁর বাড়িতে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা ছিলেন।
শেষকৃত্যে জনস্রোত
পূর্ণিমাবেন প্যাটেলের শেষকৃত্য ডাকোর শ্মশানঘাটে সম্পূর্ণ সম্মানের সাথে সম্পন্ন হয়। শেষযাত্রায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁকে বিদায় জানায়। এই দুঃখের মুহূর্তে শুধুমাত্র পরিবার নয়, গোটা গ্রাম তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে ছিল।
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন
পূর্ণিমাবেনের শেষকৃত্যে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল। খেড়া জেলার কালেক্টর অমিত প্রকাশ যাদব, পুলিশ সুপার রাজেশ গড়িয়া এবং স্থানীয় বিধায়ক যোগেন্দ্র সিংহ পারমার সহ অনেক কর্মকর্তা ও নেতা শোক প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন। সকলেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মৃতাত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।
DNA শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া কেন প্রয়োজনীয়?
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অনেক মৃতদেহ ভয়াবহভাবে পুড়ে গিয়েছিল, যার ফলে ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতিতে DNA পরীক্ষা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিকল্প। মৃতদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনার সাথে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ থেকে নেওয়া নমুনার তুলনা করা হয় এবং শনাক্তকরণ করা হয়।