সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের ফাইনালে রঙান্ধা অভিনেতা গৌরব খন্না টপ ৫-এ স্থান করে নিয়েছেন। ১১ এপ্রিল গ্র্যান্ড ফাইনাল, জেনে নিন সময়, চ্যানেল এবং টপ ফাইনালিস্টদের নাম।
মনোরঞ্জন ডেস্ক: সনি টিভির রিয়ালিটি শো ‘সেলিব্রিটি মাস্টারশেফ’ তার ফাইনালের খুব কাছে এসে পৌঁছেছে, এবং দর্শকদের উত্তেজনা চরমে। এই শোতে টিভি ইন্ডাস্ট্রির ১২ জন নামী তারকা অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু এখন মাত্র টপ ৫ প্রতিযোগী বাকি আছে। সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল, টপ ৫-এ যারা আছেন তাদের মধ্যে একজন এমন একজন অভিনেতা যিনি রঙান্ধা। হ্যাঁ, ‘অনুপমা’ খ্যাত গৌরব খন্না রঙের চেনা ছাড়াই ২২ রঙের খাবারে প্রাণ দিয়েছেন এবং বিচারকদের মন জয় করে সরাসরি টপ ৫-এ নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
ফাইনালের আগে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ, ২২ রঙ, ১৫০ ধাপ
গ্র্যান্ড ফাইনালের ঠিক আগে শোতে একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল যেখানে প্রতিযোগীদের ‘ষড়রস’ অর্থাৎ ছয়টি ভিন্ন স্বাদের খাবার তৈরি করতে হয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জে মোট ২২ টি উপাদান এবং ১৫০ টি সঠিক ধাপ ছিল। বিখ্যাত শেফ রাহুল রাণা এই চ্যালেঞ্জটিকে আরও কঠিন করে তুলেছিলেন। তবে, গৌরব খন্নাকে পূর্বের জয়ের কারণে কিছু সাহায্যের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যখন ফাইনাল প্লেটিংয়ের কথা এলো, তখন গৌরব বলেছিলেন - ‘আমি রঙান্ধা এবং আমি বুঝতেই পারছি না কোন রঙের ফুল কোথায় রাখতে হবে।’ তবুও, তিনি চমৎকার খাবার তৈরি করেছিলেন এবং দ্বিতীয় স্থানে থেকে টপ ৫-এ প্রবেশ করেছেন।
গৌরব খন্নার সাথে আরও এই তারকারা ফাইনালিস্টদের দৌড়ে
সেলিব্রিটি মাস্টার শেফের ফাইনালে যারা প্রবেশ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন তেজস্বী প্রকাশ, নিক্কি তাম্বোলি, মিস্টার ফাজু, গৌরব খন্না এবং রাজীব আদাতিয়া। অন্যদিকে, খবর অনুযায়ী টপ ৩ ফাইনালিস্টদের নামও ফাঁস হয়ে গেছে- মিস্টার ফাজু, গৌরব খন্না এবং রাজীব আদাতিয়া। তাদের মধ্যে একজন বিজয়ীর মুকুট মাথায় রাখবেন।
কি গৌরব খন্না হবেন শোয়ের প্রথম বিজয়ী?
ইন্টারনেটে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে গৌরব খন্না শোয়ের প্রথম সিজনের বিজয়ী হয়েছেন, কিন্তু এর কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। দর্শকরা এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন ১১ এপ্রিল, শুক্রবার রাত ৮ টায়, যখন শোয়ের গ্র্যান্ড ফাইনাল সম্প্রচারিত হবে।
শোটি প্রমাণ করেছে - দক্ষতা রঙের মোহতাজ নয়
সেলিব্রিটি মাস্টারশেফ আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে যে শুধুমাত্র প্রতিভা এবং আবেগই কাউকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গৌরব খন্না তার সংগ্রাম, আত্মবিশ্বাস এবং চমৎকার রান্নার মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন যে কোনও চ্যালেঞ্জকে পিছনে ফেলে দেওয়া যায়, তা রঙ না চিনতে পারার মতো কঠিন কেনই না হোক।
