মহাবীর জয়ন্তীর পর শেয়ার বাজারে দারুণ শুরুর সম্ভাবনা

মহাবীর জয়ন্তীর পর শেয়ার বাজারে দারুণ শুরুর সম্ভাবনা
সর্বশেষ আপডেট: 11-04-2025

মহাবীর জয়ন্তীর ছুটির পর আজ, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ভারতীয় শেয়ার বাজারে দারুণ শুরুর সম্ভাবনা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সূচক এবং দেশীয় নীতিগত সিদ্ধান্তগুলির সমন্বয়ে বাজারে উর্ধ্বগতির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

শেয়ার বাজার: মহাবীর জয়ন্তীর দিন ১০ এপ্রিল ২০২৫, ভারতীয় শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল। তবে, বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ, শুক্রবার, বাজারের শুরু অসাধারণ হতে পারে। এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণা, যেখানে তিনি চীন বাদে অন্যান্য সকল দেশকে ৯০ দিনের জন্য ট্যারিফ থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন। এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যার ফলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, ছুটির পর শুক্রবার বাজার উর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমেরিকান বাজার থেকে প্রাপ্ত তীব্র ইঙ্গিত

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চীন বাদে অন্যান্য সকল দেশকে ৯০ দিনের জন্য ট্যারিফে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনও উপহারের চেয়ে কম ছিল না। এই সিদ্ধান্তের পর আমেরিকান বাজারগুলিতে অসীম উত্থান দেখা গেছে:
NASDAQ Composite ১,৮৫৭.০৬ পয়েন্ট (১২.১৬%) ঐতিহাসিক বৃদ্ধির সাথে ১৭,১২৪.৯৭ তে বন্ধ হয়েছে।
S&P ৫০০ ৯.৫২% বেড়ে ৫,৪৫৬.৯০ তে পৌঁছেছে।
Dow Jones এও দারুণ লাফ দিয়েছে এবং ১,৯৬২.৮৬ পয়েন্ট বৃদ্ধির সাথে ৪০,৬০৮.৪৫ তে বন্ধ হয়েছে।
এই তথ্যগুলি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরায় শক্তিশালী করেছে, এবং এর প্রভাব ভারতীয় বাজারগুলিতেও পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশীয় স্তরেও ভালো খবর

যদিও বুধবার বাজার কিছুটা চাপে ছিল এবং সেন্সেক্স ৩৮০ পয়েন্ট কমে ৭৩,৮৪৭ তে বন্ধ হয়েছে, অন্যদিকে নিফ্টি ১৩৭ পয়েন্ট কমে ২২,৩৯৯ তে এসেছে। তবুও, এখন বাজারের জন্য তিনটি প্রধান ইতিবাচক কারণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে:

শুক্রবার উর্ধ্বগতির সম্ভাব্য তিনটি বড় কারণ

১. ৯০ দিনের জন্য ট্যারিফে ছাড়: আমেরিকার সিদ্ধান্তের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে আস্থা বেড়েছে। এর ফলে ইন্ডেক্স হেভিওয়েট কোম্পানিগুলি সমর্থন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
২. চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান: ট্রাম্প প্রশাসন চীনের উপর ট্যারিফের হার ১০৪% থেকে বাড়িয়ে ১২৫% করেছে। এর ফলে ভারত এবং অন্যান্য এশীয় দেশের জন্য রপ্তানির সুযোগের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
৩. রেপো রেট কমানো: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট ০.২৫% কমিয়ে ৬% করেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ভবিষ্যতে ঋণের খরচ কম থাকার আশা করা যায়। এর ফলে অটো, রিয়েল এস্টেট এবং ব্যাংকিং খাতে উর্ধ্বগতি আসতে পারে।

কোন খাতগুলির উপর নজর রাখা উচিত?

ব্যাংকিং এবং NBFC শেয়ার: সস্তা দরে ঋণের আশায় এই শেয়ারগুলিতে ক্রয় বৃদ্ধি পেতে পারে।
FMCG এবং কনজিউমার ডুরেবলস: মুদ্রাস্ফীতি কমার ফলে এই খাতগুলিতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা।
IT এবং ফার্মা: বিশ্বব্যাপী প্রবণতার ফলে এই ডিফেন্সিভ খাতগুলিতেও শক্তিশালী হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

Leave a comment