তিন বছর ধরে বড় পর্দা থেকে দূরে থাকার পর, আমির খান এবার একটি চমৎকার ছবি নিয়ে ফিরে আসছেন। ‘লাল সিং চড্ডা’র পর আমির কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন, কিন্তু এবার তাঁর কমব্যাক হতে চলেছে। তাঁর আগামী প্রজেক্ট ‘সিতারে জমিন পার’, যা ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর সুপারহিট ছবি ‘তারে জমিন পার’-এর সিক্যুয়েল। এই ছবির মাধ্যমে আমির একবার আবার দর্শকদের সামনে তাঁর চলচ্চিত্র প্রতি শ্রদ্ধা ও পারফেকশন প্রতিফলিত করবেন।
সিতারে জমিন পার: একটি নতুন অধ্যায়
‘সিতারে জমিন পার’ ছবির প্রথম পর্ব ‘তারে জমিন পার’ আজও দর্শকদের মনে বসবাস করছে। ওই ছবিতে আমির একজন এমন শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যিনি একজন ডিসলেক্সিক শিশুর সাহায্য করেন। ছবিটি শুধুমাত্র একটি সামাজিক বার্তা দিয়েই থেমে থাকে নি, বরং আমিরের অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। এবার ১৮ বছর পর সেই একই গল্পকে একটি নতুন রূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা দর্শকদের জন্য আরও রোমাঞ্চকর হতে চলেছে।
আমির খান সম্প্রতি এই ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছবির শুটিং শুরু হয়ে গেছে এবং তিনি ২০২৫ সালের ক্রিসমাসে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এই খবর আমিরের অনুরাগীদের জন্য একটি বিশেষ উপহার হতে পারে, কারণ দীর্ঘদিন পর তিনি বড় পর্দায় ফিরে আসছেন।
ছবির ক্লাইম্যাক্স বড়োদরায় শুটিং
আমির খান ছবিটি সম্পর্কে আরও একটি বড়ো তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছবির ক্লাইম্যাক্স বড়োদরায় শুট করা হয়েছে। আমির বলেছেন, “গুজরাট চলচ্চিত্র নির্মাণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। এটি চলচ্চিত্র, শিল্প ও সংস্কৃতির একটি বড় কেন্দ্র। এখানে এসে শুটিং করা আমাদের জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।”
অভিনেতা ও গল্প
‘সিতারে জমিন পার’ ছবিতে আমির খান মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ছবিটির প্রযোজকও তিনি নিজেই। আমির ছাড়াও ছবিতে জেনেলিয়া ডিসুজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ছবির গল্প ও পারফেকশন নিয়ে আমির সবসময় সতর্ক থাকেন এবং এবারও তিনি এটিকে তাঁর সেরা প্রযোজনার একটি করে তোলার পূর্ণ চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও, আমির খান এবং তাঁর দল ‘লাহোর ১৯৪৭’ নামে আরও একটি ছবির নির্মাণ করছেন, যা ভবিষ্যতে বড় পর্দায় দেখা যেতে পারে। এভাবে আমির খান চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক স্পর্শ করার ইচ্ছা পোষণ করছেন।
ছবির মুক্তি ও দর্শকদের প্রত্যাশা
‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তির খবরে দর্শকরা অত্যন্ত উৎসাহিত। ২০০৭ সালে ‘তারে জমিন পার’ শিক্ষা এবং শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়েছিল। এবার ১৮ বছর পর, এই ছবি তার নতুন সিক্যুয়েল নিয়ে আরও গভীর বার্তা দিতে প্রস্তুত। এবার ছবিতে শিশুদের মানসিক অবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আরও বেশি জোর দেওয়া হবে, যেমনটি আমিরের ছবিতে সবসময় দেখা যায়।
আমিরের ফিরে আসা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ রয়েছে। এই ছবিটি শুধুমাত্র আমিরের অনুরাগীদের জন্য নয়, বরং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যারা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করে।
আমির খানের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ
আমির খানের কর্মজীবনে একটি নতুন মোড় আসতে পারে কারণ তিনি এখন ছবির সাথে সাথে প্রযোজকও হয়ে উঠেছেন। ‘সিতারে জমিন পার’ ছাড়াও তিনি ‘লাহোর ১৯৪৭’ এর মতো ছবির উপর কাজ করছেন, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রকে একটি নতুন দিক দিতে পারে। আমির খানের কমব্যাক একটি বড় ইভেন্ট হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে তিনি আবারও বড় পর্দায় তাঁর ছাপ রাখতে চলেছেন।
তাঁর ছবির গল্প এবং অভিনয় সবসময় দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে, এবং এবারও তাঁর কাছে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। যতদিন ছবির মুক্তির তারিখ কাছে আসবে, ততই দেখা যাবে যে আমির এই কমব্যাকের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত করতে পারবেন কিনা।