২০২৫ সালের ১৭ই জুন, মঙ্গলবার দিল্লিতে রেখা গুপ্তা সরকার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ৩৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়।
আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির: রাজধানী দিল্লিতে আজ স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ পঙ্কজ সিংহের নেতৃত্বে ৩৩টি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির একযোগে উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্যোগ কেবলমাত্র দিল্লিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সুদৃঢ় করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নয়, বরং আগামী দিনে এটি একটি জাতীয় স্বাস্থ্য মডেল হিসেবেও আবির্ভূত হতে পারে।
এই নতুন আরোগ্য কেন্দ্রগুলি দিল্লীর পুরানো ডিসপেন্সারি এবং ফাঁকা পড়ে থাকা সরকারি ভবনগুলিকে সংস্কার করে তৈরি করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বারাতঘরকে আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে এগুলিকে ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির’ নাম দেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরগুলির লক্ষ্য হল – প্রতিটি মহল্লায় সাশ্রয়ী, সহজলভ্য ও উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।
আরোগ্য মন্দির: এক নজর
মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা শালিমার বাগ ও তीस হাজারী এলাকায় আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করেন, অন্যদিকে বিকাশপুরী বিধানসভায় নির্মিত আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ পঙ্কজ সিংহ। বিকাশপুরীতে বারাতঘর সংস্কার করে তৈরি এই কেন্দ্রটি একটি মিনি হাসপাতালের মতো দেখতে। এই আরোগ্য মন্দিরগুলিতে উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধা:
- সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুইজন কর্মরত চিকিৎসক
- ফার্মেসির জন্য আলাদা কাউন্টার
- পোশাক পরিবর্তনের ঘর ও টিকাদান ইউনিট
- কোল্ড স্টোরেজ ইউনিট
- একটি ছোট প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, যেখানে ১০ ধরণের পরীক্ষা দ্রুত সম্ভব
- ৮১টিরও বেশি রক্ত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের সুবিধা
চিকিৎসা কর্মী ও রোগীদের মতামত
বিকাশপুরী আরোগ্য মন্দিরের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মীনা বর্ষণেয় জানান, উদ্বোধনের তিন দিন আগেই চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং প্রতিদিন ২০০-র বেশি রোগী আসছেন। অন্যদিকে মহল্লা ক্লিনিকে কর্মরত ডাঃ আকাশ জানান, তাঁর ক্লিনিকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ জন রোগী আসেন এবং তিনি মহল্লা ক্লিনিকের কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা রাম জীবন ও সুষমা দেবী বলেন, আগে সামান্য অসুস্থতায়ও বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হতো। এখন এখানেই কাছে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে।
রাজনীতি ও প্রতিক্রিয়া
বিজেপি এই উদ্যোগকে তাদের সাফল্য হিসেবে দেখছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ পঙ্কজ সিংহ বলেন, আমরা দিল্লিতে স্বাস্থ্য বিপ্লব আনার দিকে কাজ করছি। ভবিষ্যতে এই কেন্দ্রগুলিকে দিনের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করে বড় হাসপাতালগুলির বোঝা কমানো হবে। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি এটিকে “নাম পরিবর্তনের রাজনীতি” বলে আখ্যায়িত করেছে। আপের রাজ্য সভাপতি সৌরভ ভার্দ্বাজ বলেন, সরকার কেবলমাত্র মহল্লা ক্লিনিক ও পুরানো ডিসপেন্সারিকে রঙ করে নতুন প্যাকেজিংয়ে উপস্থাপন করছে।
