একদিনের ঊর্ধ্বগতির পর আজ আবারও ভারতীয় শেয়ার বাজারে ধসের মুখ দেখা দিয়েছে। এশিয়ার বাজারগুলিতে দুর্বল শুরুর প্রভাব সরাসরি ভারতীয় বাজারেও পড়েছে।
বিএসই সেন্সেক্স ২০০ পয়েন্টের বেশি কমে খোলে এবং সকাল ৯:৪৭ টায় ৫০১ পয়েন্ট অর্থাৎ ০.৬২% কমে ৮০,৮২৮ পয়েন্টে নেমে আসে। অন্যদিকে, নিফটি ১৩১ পয়েন্ট কমে ২৪,৫৩৫ পয়েন্টে নেমে আসে।
সেন্সেক্স ৫০০ পয়েন্ট নেমেছে, কিছু শেয়ার ধরে রেখেছে বাজারের স্পন্দন
প্রারম্ভিক লেনদেনে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কে ২% কমেছে, অন্যদিকে অ্যাপোলো টায়ার্স ৩% বেড়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে। নিফটির ১৪টি শেয়ার সবুজে লেনদেন করছে, যার মধ্যে জেএসডব্লিউ স্টিল ২.৬৩% বৃদ্ধি পেয়ে সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে।
এছাড়াও হিরো মোটোকর্প, অদানি পোর্টস, শ্রীরাম ফাইন্যান্স এবং টেক মহিন্দ্রা-র মতো শেয়ারগুলিতেও সামান্য উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ডঃ রেড্ডি, পাওয়ার গ্রিড, ওএনজিসি এবং সান ফার্মা-র মতো বড় বড় কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির প্রবণতা বেশি ছিল, যার ফলে বাজারের গতি কমে গেছে।
পাওয়ার এবং ব্যাংকিং শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি
পাওয়ার গ্রিড, কোটাক ব্যাঙ্ক এবং সান ফার্মা-র মতো বড় বড় শেয়ারগুলিতে আজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে বাজারে বিক্রির চাপ বেড়েছে। এর বিপরীতে বিইএল এবং টাটা পাওয়ার ভালো লাভ করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
সেন্সেক্সের ৩০টি শেয়ারের মধ্যে ২৫টি শেয়ারই কমে খুলেছে, যা থেকে বাজারে ব্যাপক দুর্বলতা স্পষ্ট। ১৩টি সেক্টোরাল ইন্ডেক্সের মধ্যে ৯টি লাল निशानে লেনদেন করছে, যদিও স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ ইন্ডেক্সে তেমন উত্থান-পতন দেখা যায়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহে এখন পর্যন্ত নিফটিতে ২.৭% এবং সেন্সেক্সে ২.৪% বৃদ্ধি হয়েছে। দুটি প্রধান ইন্ডেক্সই বর্তমানে গত সাত মাসের সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ।