ইন্ডিগোর প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের জাতিগত অপমানের অভিযোগ: FIR দায়ের

ইন্ডিগোর প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের জাতিগত অপমানের অভিযোগ: FIR দায়ের
সর্বশেষ আপডেট: 2 দিন আগে

ইন্ডিগোর ট্রেইনি পাইলট তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জাতিগত অপমান ও অপমানজনক ভাষার অভিযোগ এনেছেন। FIR দায়ের হওয়ার পরও কোম্পানি নীরব। পুলিশ তদন্ত চলছে।

Indigo Airlines Controversy: ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স আবারও বিতর্কের মুখে। এবার ঘটনাটি ঘিরে রয়েছে একজন ট্রেইনি পাইলটের তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্য ও অপমানজনক ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ। অভিযোগকারী পাইলট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে SC/ST আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) অনুযায়ী FIR দায়ের করেছেন। এই পুরো ঘটনায় এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।

ব্যাঙ্গালোরে দায়ের হয়েছিল জিরো FIR

ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫, যখন ট্রেইনি পাইলটকে ইন্ডিগোর গুরুগ্রামস্থিত প্রধান কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ে ডাকা হয়। পাইলটের অভিযোগ, এই মিটিংয়ে উপস্থিত তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা—তপস দে, মনিষ সাহানি এবং ক্যাপ্টেন রাহুল পাটিল—তার সাথে অশোভনীয় ভাষা ব্যবহার করে এবং জাতিগত মন্তব্য করেছিলেন। প্রথমে এই মামলাটি ব্যাঙ্গালোরে জিরো FIR হিসেবে দায়ের করা হয়েছিল, যা পরে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ-১ থানায় স্থানান্তরিত করা হয়।

মিটিংয়ের বहाনায় অপমান

পীড়িত পাইলট অভিযোগ করেছেন যে, মিটিংয়ে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা হয়েছিল। পাইলটের মতে, অফিসে পৌঁছতেই তাকে তার ফোন ও ব্যাগ বাইরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তিনজন কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, "তুই বিমান চালানোর যোগ্য নই, গিয়ে চটি সিলে। তুই তো চৌকিদার হওয়ারও যোগ্য নই।"

কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও এথিক্স কমিটি থেকে সাহায্য পাননি

পীড়িত পাইলট প্রথমে কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা ও এথিক্স কমিটির কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু তার অভিযোগ গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়নি। অবশেষে তাকে জাতীয় অনুসূচিত জাতি আয়োগ (SC/ST সেল)-এর সাথে যোগাযোগ করতে হয় এবং আইনি পথ অবলম্বন করতে হয়।

FIR-এ ধারা এবং আইনি প্রক্রিয়া

FIR-এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে SC/ST আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকল অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। পীড়িতের অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি সকল ঘটনার প্রমাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তদন্তকারী সংস্থাকে জমা দিয়েছেন।

Leave a comment