ছত্তীসগঢ়ের প্রখ্যাত হাস্যরসিক এবং ব্যঙ্গাত্মক লেখক পদ্মশ্রী ডঃ সুরেন্দ্র দুবে শুক্রবার রায়পুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ছত্তীসগঢ়ের প্রখ্যাত হাস্যরসিক এবং ব্যঙ্গাত্মক লেখক পদ্মশ্রী ডঃ সুরেন্দ্র দুবে শুক্রবার রায়পুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি দুপুর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
ডঃ দুবে সারা দেশে তাঁর তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গাত্মক শৈলী, মঞ্চের প্রভাব এবং সহজ হাসির জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি ছত্তীসগঢ়ী ভাষা এবং হাস্যরসাত্মক কবিতাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিতি এনে দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই এবং উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা শোক প্রকাশ করেছেন
মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই ডঃ দুবের প্রয়াণকে ছত্তীসগঢ়ী সাহিত্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, জীবনভর সমাজকে হাসি উপহার দেওয়া ডঃ দুবের এভাবে চলে যাওয়া গভীর আঘাত। তাঁর সৃজনশীলতা, প্রাণবন্ততা এবং উৎসর্গ সর্বদা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মাও গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সুরেন্দ্রজী জীবনভর হাসি বিলিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু আজ আমাদের চোখে জল এনে দিলেন। তাঁর কবিতাগুলি আমাদের হৃদয়ে চিরকাল জীবিত থাকবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন প্রয়াত আত্মার শান্তি দেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি দেন।
সাহিত্যের পাশাপাশি আয়ুর্বেদেও গভীর জ্ঞান ছিল
ডঃ সুরেন্দ্র দুবের জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৫৩ সালে, ছত্তীসগঢ়ের বেমেতরায়। তিনি পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন, তবে তাঁর পরিচিতি এমন একজন সাহিত্যিক হিসেবে ছিল, যিনি হাস্যরস এবং ব্যঙ্গকে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
ভারত সরকার ২০১০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। তিনি বিভিন্ন মঞ্চ, কবি সম্মেলন এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থাপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে হাসিয়েছেন, ভাবতে বাধ্য করেছেন এবং ছত্তীসগঢ়ের মাটিকে গর্বিত করেছেন।
তাঁর প্রয়াণকে হিন্দি কবিতা মঞ্চের একটি বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাহিত্যিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সাধারণ পাঠক ও শ্রোতাদের মধ্যেও গভীর শোক বিরাজ করছে।