বাড়িতেই মচকের সমস্যার সমাধান |
বন্ধুরা, আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়ে মচকের সমস্যায় ভুগেছি। মচক লাগলে একজন মানুষকে অনেক ব্যথা সহ্য করতে হয়। যখন হাড়ে কোনো আঘাত লাগে, তখন সংযুক্ত টিস্যুগুলোতে সমস্যা হয় এবং মচক লাগে। হাঁটার সময় হঠাৎ করে পায়ের পাতা ঘুরে গেলে, দৌড়ানোর সময় পায়ের পাতা বেঁকে গেলে বা পড়ে গেলে পায়ের পাতায় মচক লাগতে পারে। আসলে, হাড়ে যেকোনো ধরনের আঘাতের কারণে মচক লাগতে পারে।
সাধারণত, মচক তেমন বড় সমস্যা নয়। তবে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মচক সাধারণত ব্যায়াম, ক্যালসিয়ামের অভাব, পটাসিয়ামের অভাব বা আঘাতের কারণে হতে পারে। মচক লাগলে মানুষ পেশীতে ব্যথা এবং খিঁচুনি অনুভব করে। মচক লাগলে একজন মানুষ কয়েকদিন পর্যন্ত তার কাজ করতে পারে না। এই সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষের যেকোনো সময় হতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা মচকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
মচক নিরাময়ের ঘরোয়া উপায়
লবঙ্গের তেল উপকারী
আপনারা হয়তো জানেন, দাঁতের সমস্যার জন্য লবঙ্গের তেল ব্যবহার করা হয়। একইভাবে, এই তেল মচক নিরাময়েও সাহায্য করে। এতে অ্যানেস্থেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ফোলা এবং ব্যথা কমায়। এক বা দুই চামচ লবঙ্গের তেল নিন এবং কিছুক্ষণ পর, আক্রান্ত স্থানে হালকা হাতে লাগান এবং মালিশ করুন। এই প্রক্রিয়াটি পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। দিনে তিন বা চারবার লবঙ্গের তেল দিয়ে মালিশ করুন।
বরফের চিকিৎসা
যদি মচক লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা হয়, তাহলে ফোলা হয় না। এছাড়া, বরফ ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। মচক লাগলে প্রতি ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা উচিত। কখনো সরাসরি বরফের কিউব দিয়ে ঠান্ডা করা উচিত না। বরফ সবসময় কাপড়ে মুড়িয়ে ঠান্ডা করা ভালো।
সেন্ধা নুনের ব্যবহার
সেন্ধা নুন প্রদাহ বিরোধী এবং পেশীর ব্যথা ও খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিকভাবে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড়ের ব্যথা কমায়। এই লবণটি তরল পদার্থ বের করে ফোলা থেকে মুক্তি দেয়। দুই কাপ সেন্ধা নুন নিন এবং এটিকে এক বালতি গরম জলে মেশান। এই জল দিয়ে স্নান করতে পারেন অথবা আক্রান্ত অঙ্গটি এতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, আক্রান্ত স্থানে পট্টি বাঁধুন। যতক্ষণ না আপনার মচক ভালো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি করুন।
হলুদ ও চুন ব্যবহার
একটি বাটিতে বা পাত্রে দুই চামচ হলুদ এবং এক চামচ চুন নিন। তারপর ভালোভাবে মিশিয়ে কম আঁচে এক বা দুই মিনিট গরম করুন। গরম থাকা অবস্থায় মচকের জায়গায় লাগান। শুকানোর আগে এটি তুলে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে, গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর আপনি আরাম বোধ করবেন। ব্যথা কমে না যাওয়া পর্যন্ত দিনে দুবার নিয়মিতভাবে এই প্রলেপ লাগাতে পারেন। এটি লাগানোর পর, বেশি নড়াচড়া করা উচিত নয়। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ফোলা কমাতে অনেক সাহায্য করে।
```
