কোটি টাকার চাকরি প্রত্যাখ্যান করে ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তোলার গল্প

আরুষি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী ছিলেন। পড়াশুনা শেষ করে তিনি চাকরি প্রত্যাখ্যান করে নিজের স্টার্টআপ শুরু করেন। আজ আরুষির কোম্পানির রেভিনিউ ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে, আরুষি ট্যালেন্টডিক্রিপ্ট

বেশিরভাগ যুবক-যুবতী পড়াশুনা শেষ করার পর ভালো চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু, খুব কম লোক নিজের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবে। আজ আমরা আপনাদের এমন একজন যুবতীর অনুপ্রেরণামূলক গল্প বলবো, যিনি ১ কোটি টাকার চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।

আমরা কথা বলছি উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদের আরুষির কথা। আরুষি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী ছিলেন। পড়াশুনা শেষ করার পর, আরুষি চাকরি প্রত্যাখ্যান করে নিজের স্টার্টআপ শুরু করেন। আজ আরুষির কোম্পানির রাজস্ব ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

কিভাবে স্টার্টআপের আইডিয়া এলো

আরুষি কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা শেষ করেন। পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর, তার কলেজের অন্যান্য ছাত্ররা চাকরি পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছিল। এ সময়, আরুষি দেশের একটি বড় কোম্পানির কাছ থেকে ১ কোটি টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব পান, কিন্তু আরুষি চাকরি করতে চাননি। তার স্বপ্ন ছিল নিজের স্টার্টআপ শুরু করা।

তিনি দেখলেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী এমন আছে যারা চাকরি পায়নি অথবা ইন্টারভিউ দিতে পারছে না। এখান থেকেই আরুষির মনে ব্যবসার আইডিয়া আসে। তিনি এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেন, যা মানুষকে কোম্পানির সাথে যুক্ত করে এবং চাকরি পেতে সাহায্য করে।

আরুষি শুরু করলেন ট্যালেন্টডিক্রিপ্ট

আরুষির স্টার্টআপের নাম ট্যালেন্টডিক্রিপ্ট (TalentDecrypt)। এই প্লাটফর্ম কোম্পানিগুলোকে এমন সুবিধা প্রদান করে যাতে তারা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে চাকরির জন্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারে। ট্যালেন্টডিক্রিপ্ট যুবক-যুবতীদের চাকরি পেতে অনেক সাহায্য করে। তবে, আরুষি ট্যালেন্টডিক্রিপ্ট শুরু করলেও তার যাত্রা সহজ ছিল না।

স্টার্টআপ শুরু করার পর আরুষির প্রধান কাজ ছিল কোম্পানিগুলোকে তার প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত করা। শুরুতে তিনি অনেক কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন, কিন্তু কেউই তার প্লাটফর্মে আগ্রহ দেখায়নি। একদিন, আরুষি তার পিতার সাথে একটা IT কোম্পানিতে তার সফটওয়্যার উপস্থাপন করেন, এবং সেখান থেকেই তার স্টার্টআপ গতি পায়। আজ আরুষির প্লাটফর্মের সাথে অনেক কোম্পানি যুক্ত আছে।

আজ আরুষি ট্যালেন্টডিক্রিপ্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। তার কোম্পানির রেভিনিউ ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা তার উদ্যমিতার যাত্রা এবং পরিশ্রমের প্রমাণ। আরুষি তার স্টার্টআপের মাধ্যমে শুধু নিজেকে সফল করেননি, বরং যুবক-যুবতীদের চাকরি দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।