শশী थरूर ‘অপারেশন সিনদুর’ নিয়ে澄清, বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা থামিয়ে দিলেন

শশী थरूर ‘অপারেশন সিনদুর’ নিয়ে澄清, বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা থামিয়ে দিলেন
সর্বশেষ আপডেট: 12 ঘণ্টা আগে

कांग्रेस দলের বর্ষীয়ান নেতা शशि थरूर মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ‘অপারেশন সিনদুর’ নিয়ে তিনি যে লেখাই লিখেছেন, সেটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

শশী থরোরের উপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্য: কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা এবং সাংসদ শশী থরোড় বর্তমানে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। এর কারণ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে খোলাখুলি প্রশংসা করা। এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, থরোড় কি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন? কিন্তু এখন নিজেই শশী থরোড় এই জল্পনাগুলিকে থামিয়ে দিয়েছেন এবং স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তাঁর মন্তব্যগুলির উদ্দেশ্য হল দেশहितে ঐক্যবদ্ধতা দেখানো, কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত নয়।

‘এটি প্রশংসা নয়, জাতীয় সংকল্পের কথা’

আসলে, শশী থরোড় ইংরেজি সংবাদপত্রের ‘দ্য হিন্দু’য় প্রকাশিত তাঁর লেখায় ‘অপারেশন সিনদুর’-এর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিশ্ব মঞ্চে ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শক্তি, সংলাপের দক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রভাবশালী উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছে। এই লেখায় বিজেপি সামাজিক মাধ্যমে এটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করে, যার ফলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যে, থরোড় দলীয় লাইন থেকে সরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করছেন।

তবে, একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এটি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সংকেত নয়। এটি ভারতের জন্য দাঁড়ানো এবং জাতীয় স্বার্থের কথা। আমি ২৫ বছর ধরে জাতিসংঘের সেবা করার পরে ভারত ফিরে এসেছি, দেশের সেবা করার জন্য।

সত্যই কি থরোড় মোদী সরকারের কাছাকাছি চলে আসছেন?

শশী থরোড়ের এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তিনি দেশहितের বিষয়গুলির উপর প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা সমর্থন করতে পারেন, কিন্তু এর ফলে তাঁর রাজনৈতিক আনুগত্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন যে, ভারতের পররাষ্ট্রনীতি কোনো দলের নয়, বরং এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নীতি, যার সমর্থন সব দলের পাওয়া উচিত। আমার মতে, সত্যিই বিজেপির পররাষ্ট্রনীতি বা কংগ্রেসের পররাষ্ট্রনীতি বলে কিছু নেই, শুধুমাত্র ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতি এবং ভারতীয় জাতীয় স্বার্থ রয়েছে।

‘অপারেশন সিনদুর’ কী এবং থরোড়ের ভূমিকা?

‘অপারেশন সিনদুর’ ছিল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের पहलগাম-এ জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় চালানো একটি সামরিক অভিযান। এই ঘটনার পর সরকার আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান ও ফ্রান্সের পাঁচ দেশে একটি বহুदलीय প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিল, যাতে ভারতের পরিস্থিতি এবং পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা যায়। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন শশী থরোড়।

থরোড় বলেন, এই অভিযান বিশ্বকে একটি বার্তা দিয়েছে যে, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এটি কেবল সরকারের অভিযান ছিল না, বরং সমগ্র রাজনৈতিক নেতৃত্বের একতার প্রতীক।

মোদী সরকারের বিদেশ সফরকে সমর্থন

তাঁর লেখায় থরোড় আরও উল্লেখ করেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্ব মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কাজটি করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সফর করেছেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া। তবে, তিনি আরও যোগ করেন যে, এই প্রচেষ্টাকে আরও বেশি সমর্থন এবং সমন্বয়ের প্রয়োজন, যাতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি আরও কার্যকর হতে পারে।

থরোড়ের এই মন্তব্য কংগ্রেস নেতৃত্বের জন্য একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যখন দলটি প্রায়শই মোদী সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে সমালোচনা করে আসছে। দলের নেতৃত্ব আগে থেকেই থরোড়ের বিভিন্ন ‘স্বাধীন চিন্তাভাবনা’ वाली মন্তব্যের সঙ্গে একমত হননি। তবে, এটি প্রথম নয় যখন থরোড় কোনো রাজনৈতিক ‘লাল çizgীকে অতিক্রম করেছেন’।

শশী থরোড় এই পুরো ঘটনায় নিজের মতামত স্পষ্ট করে বলেছেন, আমার মতে, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক মতভেদ শুধুমাত্র সীমার মধ্যে থাকা উচিত। জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি-এর মতো বিষয়গুলোতে সব দলের উচিত একসঙ্গে ভারতের পক্ষ সমর্থন করা।

Leave a comment