উত্তর ভারতে আবারও আবহাওয়ার বদল ঘটেছে। দিল্লি-এনসিআরে হালকা বৃষ্টির পর আবহাওয়া মনোরম হলেও, পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বর্ফপাতের ফলে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটেছে।
আবহাওয়া: উত্তর ভারতে আবারও আবহাওয়ার বদল ঘটেছে। দিল্লি-এনসিআরে হালকা বৃষ্টির পর আবহাওয়া মনোরম হলেও, পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বর্ফপাতের ফলে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটেছে। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ডে বর্ফপাত এবং বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা বেড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর (IMD) আজ অর্থাৎ ১ মার্চ হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং পাঞ্জাবে প্রবল ঝড়ের সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। হিমাচল প্রদেশে বিশেষ করে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
সমভূমি অঞ্চলে বৃষ্টি, পাহাড়ে বর্ফপাত
আবহাওয়া দপ্তরের মতে, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে প্রবল বাতাসের সাথে ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুৎপাত এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত (১২ সেমি পর্যন্ত) হতে পারে, যখন হিমাচল প্রদেশে ২০ সেমি পর্যন্ত বর্ফপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আবহাওয়ার ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে মানুষকে স্বাস্থ্য এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে তাপমাত্রা নেমেছে
গত ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে তাপমাত্রা কমেছে। চণ্ডীগড়ে ১০.৯ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। IMD হরিয়ানার বাহাদুরগড়, কুরুক্ষেত্র, কৈথল, কর্ণাল, পানিপথ, সোনিপত, রোহতক, ভিওয়ানী এবং ঝজ্জার মতো জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। এই সময় প্রবল বাতাস বয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
হিমাচলে ২০০-র বেশি রাস্তা বন্ধ
হিমাচল প্রদেশে ভারী বর্ফপাত এবং বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটেছে। লাহৌল-স্পিতি, কিন্নৌর, কুল্লু, শিমলা এবং চম্বা জেলায় বর্ফপাতের কারণে ২০০-র বেশি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক এলাকা রাজ্যের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর উচ্চভূমিতে ভারী তুষারপাত নিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।
কাশ্মীরে বর্ফপাতের ফলে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত
কাশ্মীরে ভারী বর্ফপাতের ফলে রেল, বিমান এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটেছে। শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে ভূমিধ্বস এবং পাথর পড়ার ঘটনার ফলে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আগামী দিনগুলিতে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। IMD যাত্রীদের সতর্ক থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায়ও প্রভাব পড়তে পারে।