টোকিওতে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সাথে পৌঁছে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানকে ‘জঙ্গলী হ্যান্ডলার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত নতি স্বীকার করবে না এবং বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সাথে জাপানের টোকিওতে পৌঁছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ভারত কখনোই ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করবে না এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানকে ‘জঙ্গলী হ্যান্ডলার’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন যে পাকিস্তান ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং এই সত্যটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা জরুরি।
ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের পর বিদেশে ভারতের পক্ষ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি সামরিক সংঘর্ষ এবং ‘অপারেশন সিন্দুর’ -এর সাফল্যের পর ভারতীয় প্রতিনিধিদল টোকিওতে পৌঁছেছে। এই সময় ভারতীয় প্রতিনিধিদল পাকিস্তান-প্রশ্রয়িত সন্ত্রাসবাদের বাস্তবতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে ভারত সর্বাবস্থায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং কোনো শক্তিই ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।
‘পাকিস্তান সন্ত্রাসের জঙ্গলী পালক- অভিষেক’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানকে জোরালোভাবে সমালোচনা করে বলেছেন, "যদি সন্ত্রাসবাদ একটা পাগল কুকুর হয়, তাহলে পাকিস্তান একটা জঙ্গলী হ্যান্ডলার। আমাদের প্রথমে এই জঙ্গলী হ্যান্ডলারকে থামাতে পুরো বিশ্বকে একত্রিত করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে পাকিস্তানের মতো দেশ আরও সন্ত্রাসবাদী তৈরি করবে, যারা পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।"
তিনি বলেছেন, "আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমরা ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করব না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ দায়িত্বশীল, নিখুঁত এবং অ-উগ্রবাদী হয়েছে। ভারত সর্বদা দায়িত্বের সাথে কাজ করে।"
ভারতের বৈদেশিক নীতি এবং বিশ্বব্যাপী চিত্রকে শক্তিশালীকরণ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে ভারতের বৈদেশিক নীতি এবং বিশ্বব্যাপী মঞ্চে ভারতের দৃঢ় চিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি বিরোধী দলের সদস্য, কিন্তু যখন দেশের নিরাপত্তার কথা আসে, তখন সবাই এক।
সম্প্রতি সামরিক সংঘর্ষ এবং ‘অপারেশন সিন্দুর’ -এর সাফল্যের পর ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার কৌশল শক্তিশালী। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সে কেবলমাত্র নিজের রক্ষা করবে না, বরং সন্ত্রাসবাদের আস্তানাগুলিতেও নিখুঁত আঘাত হানবে।
