তেল আবিবে আমেরিকার দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত

🎧 Listen in Audio
0:00

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে আমেরিকার দূতাবাসকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে, ফলে ভবনের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকলেই নিরাপদে আছেন। এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলবে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত তেল আবিবে: ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এখন আরও ভয়ঙ্কর মোড় নিয়েছে। এবার ইরান সরাসরি ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে। এই আক্রমণে দূতাবাস ভবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় হল, এই আক্রমণে কোন কর্মী হতাহত হয়নি। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মাইক হুকবি নিশ্চিত করেছেন যে সকলেই নিরাপদে আছেন, কিন্তু আক্রমণ আমেরিকার উদ্বেগ অবশ্যই বৃদ্ধি করেছে।

আক্রমণের পেছনে কারণ

ইরান অভিযোগ করেছে যে ইসরাইলের আক্রমণের পেছনে আমেরিকার ভূমিকা রয়েছে। ইরান মনে করে যে আমেরিকা পর্দার আড়ালে ইসরাইলকে সমর্থন করছে, বিশেষ করে অস্ত্র ও কৌশলগত সহায়তার মাধ্যমে।

ইসরাইলের কাছে আধুনিক অস্ত্র, যেমন আমেরিকার F-35 যুদ্ধবিমান, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। इससे এই আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে যে আমেরিকাও এই সংঘর্ষে পরোক্ষভাবে জড়িত। এই কারণেই ইরান এখন আমেরিকার ঘাঁটিগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করে আঘাত হানা শুরু করেছে।

আক্রমণের সময় এবং প্রভাব

এসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনের মতে, এই আক্রমণ তখন ঘটে যখন আমেরিকা ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ইরানের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে। তেল আবিবে এই ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের পর আমেরিকার কনস্যুলেট অবিলম্বে খালি করা হয় এবং যিরুশালেমে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসকেও সাবধানতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রদূত মাইক হুকবি জানিয়েছেন যে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণে ভবনের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু কোন হতাহত হয়নি। তারপরও সমগ্র এলাকায় ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি হাই অ্যালার্টে রয়েছে।

ইরাকের ঘাঁটিতেও আক্রমণ, সন্দেহভাজন ইরান সমর্থিত প্রক্সি গ্রুপ

এই আক্রমণের একদিন আগে ইরাকে অবস্থিত একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিকে ড্রোন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এই আক্রমণের দায় কেউ স্বীকার করেনি, কিন্তু আমেরিকান সংস্থাগুলি সন্দেহ করে যে এর পিছনে ইরান সমর্থিত প্রক্সি গ্রুপের হাত থাকতে পারে। ইরানের নীতি এখন দেখাচ্ছে যে এটি কেবলমাত্র ইসরাইলকে নয়, বরং তার সহযোগীদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করছে। এই সংঘর্ষ এখন আর কেবল দুটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করতে শুরু করেছে।

আমেরিকার কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধে আমেরিকার কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসুরক্ষার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগে ইরান কর্তৃক আরেকটি আক্রমণের সময় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হুকবি একই রাতে পাঁচবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছিল।

হুকবি বলেছেন, "সর্বত্র আক্রমণের ভয় ছিল। আমরা বঙ্কার বদল করছিলাম, কিন্তু কোথাও পুরোপুরি নিরাপত্তা অনুভব করছিলাম না।" এটা স্পষ্ট করে যে আমেরিকার কূটনীতিকরা এখন আর নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না।

Leave a comment