বাংলাদেশে আট বছরের এক শিশুকন্যার সাথে ধর্ষণের ঘটনার পর ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন নারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ হাজার হাজার নারী রাস্তায় নেমেছেন, ছয়টি নতুন ঘটনা সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ: বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। এই ঘটনাগুলির প্রতিবাদে হাজার হাজার নারী রাস্তায় নেমে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
ধর্ষণের বর্ধিত ঘটনায় আতঙ্ক
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি আরও ছয়টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনায় ছয়টি জেলায় পুলিশ অন্তত সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বলা হচ্ছে, ধর্ষিত শিশুদের বয়স ছয় থেকে চৌদ্দ বছরের মধ্যে। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে, যা সমাজে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশে অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা
নারীদের বিরুদ্ধে বর্ধিত হিংসা ও অপরাধ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলেছে। ক্রমাগত ঘটনাপ্রবাহে জনসাধারণের রোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বসে পড়েছে এবং অপরাধীরা কঠোর শাস্তি পাচ্ছে না।
নারীদের বিক্ষোভের প্রধান দাবি
বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের প্রধান দাবিগুলি হল:
ধর্ষণের শিকারদের ন্যায়বিচার পাওয়া।
অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান।
গৃহমন্ত্রী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ।
আইন-শৃঙ্খলা স্থাপনের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ।
মাগুরায় শিশুকন্যার সাথে নির্মমতা, হাসপাতালে ভর্তি
সম্প্রতি মাগুরা জেলায় এক আট বছরের শিশুকন্যার সাথে নির্মমতা চালানো হয়, যার পর তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর সারা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করে অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি প্রদানের।
ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ
২০২৪ সালের আগস্টে মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা সরকারকে এই ঘটনাগুলির জন্য দায়ী করছে। ছাত্রছাত্রী ও বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার এবং গৃহমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
