পুতিন ট্রাম্পকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে ৯০ মিনিট আলোচনা করলেন

🎧 Listen in Audio
0:00

পুতিন ট্রাম্পকে ফোনে এক ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখলেন, তারপর ৯০ মিনিট কথা বলেছেন। এটি প্রথমবার নয় যখন পুতিন কোনো বড় নেতাকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়েছেন।

ট্রাম্প-পুতিন: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে বলা হয় যে, যাদের সাথে তিনি বিশেষভাবে সখ্যপূর্ণ নন, তাদের সাথে সাক্ষাত বা আলোচনার আগে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। এমনটা আগেও বহুবার দেখা গেছে। এখন খবর আসছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য যখন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তখন তাকে প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

এক ঘন্টার বিলম্বের পর আলোচনা

বহু প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ট্রাম্পকে ফোনে কথা বলার জন্য এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এরপর পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে তার সাথে আলোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে পুতিনকে একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে দেখা যাচ্ছে, যেখানে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আলেকজান্ডার শোখিন তাকে ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলার কথা মনে করিয়ে দেন। এতে পুতিন হালকা হাসি দিয়ে কাঁধ উঁচিয়ে মজা করে বলেন, "তার কথা শোনো না..." যখন শোখিন বলেন, "এখন দেখতে হবে ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়া কী হয়," তখন পুতিন উত্তর দেন, "আমি ট্রাম্পের নয়, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভের কথা বলছিলাম।"

৯০ মিনিট ধরে চলে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা

দ্য সানের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, পুতিন সন্ধ্যা ৫ টায় ক্রেমলিনে পৌঁছান, যখন ট্রাম্পের কল আসার নির্ধারিত সময় তার এক ঘন্টা আগে ছিল। তারপরও, পুতিন ট্রাম্পের সাথে প্রায় ৯০ মিনিট কথা বলেছেন। এই আলোচনার সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুদ্ধবিরতি এবং শক্তি কেন্দ্রগুলিতে হামলা বন্ধের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পুতিনের পুরোনো রেকর্ড: অন্য নেতাদেরও অপেক্ষা করিয়েছেন

এটি প্রথমবার নয় যখন পুতিন কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে ৬ ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিলেন। তখনও বৈঠকের বিষয় ছিল ইউক্রেন। জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে তখন উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ ছিল, কিন্তু পুতিনের কূটনীতির ফলে মার্কেলকে ৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

Leave a comment