পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক ডার সংসদে স্বীকার করেছেন যে তিনি UNSC প্রস্তাবে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার দোষী TRF-এর নাম সরিয়েছেন। TRF হল লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
পাকিস্তান: পাকিস্তান আবারও তার দ্বৈত চরিত্র এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি নম্রতার পরিচয় দিয়েছে। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক ডার সংসদে স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন যে তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)-এর সেই প্রস্তাবে থেকে দ্য রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট (TRF)-এর নাম সরিয়েছেন, যারা পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছিল। TRF সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত, যারা কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
UNSC প্রস্তাবে থেকে TRF-এর নাম কেন সরানো হলো?
ইশাক ডার সংসদে নিজেই বলেছেন যে UNSC পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল যেখানে TRF কে হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। পাকিস্তান এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে TRF-এর নাম সরানোর শর্ত দিয়েছিল।
ডার-এর মতে, তিনি তার স্থায়ী প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে যতক্ষণ না জম্মু-কাশ্মীর শব্দটি যোগ করা হয় এবং TRF-এর নাম সরানো হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না।
TRF কে এবং কেন এটি বিপজ্জনক?
TRF অর্থাৎ দ্য রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট আসলে লস্কর-ই-তৈয়বারই নতুন রূপ। এই সংগঠন নিজেকে "স্থানীয়" দেখানোর চেষ্টা করে, যদিও এর অর্থায়ন, অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ সরাসরি পাকিস্তান থেকে আসে। পুলওয়ামা হামলায় এই সংগঠন তাদের বিশেষ ফ্যালকন স্কোয়াড মডিউল ব্যবহার করেছিল, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং নির্ভুল হামলার জন্য পরিচিত।
পাকিস্তানের লজ্জাজনক যুক্তি
ইশাক ডার TRF-এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে "হামলায় TRF-এর জড়িত থাকার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।" তিনি এমনকি বলেছেন যে TRF হামলার দায় স্বীকার করেনি, যদিও বাস্তবতা হল TRF নিজেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। এ থেকে স্পষ্ট যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের ক্লিনচিট দেওয়ার জন্য যেকোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া কী?
ভারত পাকিস্তানের এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে। সরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের এই প্রকাশ্য সমর্থন শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেয় না, বরং আন্তর্জাতিক আইন এবং UNSC-এর মতো মঞ্চেরও অবমাননা করে। ভারত TRF এবং লস্কর-এর মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।