ওফুনাতো শহরে ভয়াবহ বনানীলের ঘটনায় একজনের মৃত্যু, ৮০টি ভবন পুড়ে ছাই। প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল, ১৮০০ হেক্টরেরও বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত।
জাপান: ইওয়াতে প্রিফেকচারের ওফুনাতো শহরে ভয়াবহ বনানীলের সূত্রপাত হয়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষকে নিজের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হচ্ছে। এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বনানীল বলে মনে করা হচ্ছে, যা ১৮০০ হেক্টর (৪৪৫০ একর) এরও বেশি এলাকা পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।
১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে বড় বনানীল
জাপানের অগ্নি নির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (FDMA) এই আগুনকে ১৯৯২ সালের পর সবচেয়ে বড় বনানীল ঘোষণা করেছে। এর আগে ১৯৯২ সালে হোক্কাইডোর কাশিরো অঞ্চলে এক ভয়াবহ আগুন দেখা গিয়েছিল। এই বনানীলে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০টিরও বেশি ভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুন নেভানোর চেষ্টা অব্যাহত
অগ্নি নির্বাপণ বিভাগ ও জরুরীকালীন দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হেলিকপ্টার এবং স্থল দল আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করার চেষ্টা করছে, কিন্তু প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হচ্ছে। এই আগুন ছাড়াও জাপানের ইয়ামানাশি প্রিফেকচার এবং ইওয়াতের অন্যান্য অঞ্চলেও বনানীলের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে বনানীল সাধারণত ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে লাগে, যখন শুষ্ক বাতাস এবং প্রবল বাতাস আগুন ছড়িয়ে পড়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন আগুনের তীব্রতা এবং ঘন ঘনতা বেড়ে উঠছে। ২০২৩ সালে জাপানে প্রায় ১৩০০ বনানীলের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা ১৯৭০-এর দশকের তুলনায় কম, কিন্তু সাম্প্রতিক আগুনগুলি পরিবেশগত পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাবকে তুলে ধরে।
পরিস্থিতি নজরদারিতে রয়েছে কর্তৃপক্ষ
স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে এবং তাদের নিরাপদ স্থানে পাঠানো হচ্ছে। জাপান সরকার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত জরুরী সংস্থান প্রেরণের পরিকল্পনা করছে।